Home » » অবুজ ছাত্রী পর্ব ৩

অবুজ ছাত্রী পর্ব ৩

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#পর্ব_তিন

আরে না আমিতো ভয়ে ঘামতেছি।আমি মনে করছিলাম আমাদের মাঝে যে কথাগুলো হলো সেগুলো তোমার মা শুনতে পেয়েছে নাকি সেটার ভয়ে ঘামতেছি আমি।যদি শুনে পরের দিন আর তোমাকে পড়াতে আসতে পারবো না।
কেনো স‍্যার।
তুমি বুঝবা না,ওকে থাকো আমি গেলাম আর যেগুলো পড়া দিলাম ঠিক ভাবে পড়িও ওকে।
যাবেন মানে আম্মু কি বললো আপনাকে নাস্তা করে যেতে।না হলে আম্মু বাবাকে বলে দিবে।

ঠিক আছে চলো তারাতারি নাস্তা করে আমাকে বাড়িতে যাইতে হবে।(এখানে যত থাকবো ততো আমাকে বিপদে পড়তে হবে )

কেনো,আপনি কি বিয়ে করছেন নাকি।আমার জানা মতে তো আপনি বিয়ে করেন নাই।
কেনো এখানে বিয়ের কথা কই থেকে আসলো।আর আমি যদি বিয়ে করি তাহলে তুমি তো সবার আগে দাওয়াত দিবো।

(এ আইচে আমাকে দাওয়াত দিতে আমি তো আপনাকে স‍্যার বিয়ে করবো হাহাহা অন‍্য কাউকে আপনার ভাগ দিবো না।আমি তো আপনাকে সেই প্রথম দেখেই আপনার উপর ক্রাস খাইছিলাম।আপনি এখন আমার মনে প্রান জুড়ে আছেন।আমাকে বাদে যদি অন‍্য কাউকে বিয়ে করেন তাহলে আপনার খবর করে ছাড়বো।এগুলো কথা মনে মনে ভাবতেছি  আর হাসতেছি )

কি হলো রাফিজা একায় একায় হাসতেছ কেনো ,কই হারায় গেলে।কখন থেকে ডাকতেছি শুনো না কেনো।

(স‍্যার এর ডাকে আমার হুস আসলো।যে স‍্যার আমার সামনে দারে আছে।)জ্বী স‍্যার।তো আপনি নাকি বিয়ে করেন নাই তাহলে আপনার বাড়িতে তো বউ ও নাই যদি থাকতো তাহলে কথা ছিলো।আর আপনার বাসায় যাওয়ার এতো তারা কিসের হুম।

তুমি বুঝবা না?

যদি বুঝায় বলেন তাহলে সব বুঝবো স‍্যার।

তাতে দেখতেছি আন্টি ডাগতেছে,,

এই রাফিজা তোর স‍্যারকে নিয়ে আয়।
যাচ্ছি মা একটু দারাও,একটা অংক বুঝে নেই।অংক টা বুঝতেছি না।

ঠিক আছে তারাতারি নিয়ে আয় অংকটা বুঝে নিয়ে।

কি বেপার আগে জানতাম তুমি খুব দুষ্টু কিন্তু এখন দেখতেছি তো বিনা কারনেও মিথ‍্যা কথাও বলো।

কই স‍্যার,আমি মিথ‍্যা বললাম।
কেনো তোমার আম্মুকে বললা না যে অংক বুঝে নিচ্ছো কিন্তু আমরা তো বসে গল্প করতেছি।

স‍্যার আপনি একটু বেশি বলেন কেনো।আর কোন কথা না,চলেন নাস্তা করতে মা ডাকতেছে।
দুই জনে দুই তালা থেকে নিচে নামলাম নিচে নেমে আন্টি বলতেছে আমাকে,,
বাবা ঈমান এখানে বসো।

তারপর আন্টি যেখানে বসতে বললো সেখানে বসলাম।আর আমার সামনের চেয়ারে  দেখতেছী বসেছে আমার  দুষ্টু ছাত্রী রাফিজা  আমার সোজাসুজি হয়ে।ওর দিকে একটূ তাকাতেই আমাকে আবাক করে দিলো।
কারন ও আমাকে চোখ টিপা দিয়ে হাসতেছি।কি আজব মেয়ে রে মাইরি।সেও মরবে আমাকেও মারবে।
(স‍্যার এর সাথে কেউ এমন মজা করে।)

তো বাবা নাস্তা করবে না,ভাত খাবে।(আন্টি)

ভাত খাবো না এখন,নাস্তা দেন আন্টি।ভাত রাতে বাসায়  গিয়ে খাবো।
নাস্তা, না মা স‍্যারকে ভাত দেও।আজকে প্রথম আমাদের বাসায় খাচ্ছে।
(এই মেয়ে আজকে মনে হয় আমাকে মেরে ফেলার প্লান করতেছে।যতো তারাতারি এই বাড়ি থেকে বাহির হতে চাচ্ছি কিন্তু  এই মেয়ের জ্বালায় যাইতে পারি না।)

না,আন্টি আমি ভাতততত কথা শেষ না করতেই দেখতে আমার প্লেটে ভাত তরকারি দিয়ে দিয়েছে।কি আর করার খাইতেই হবে দেখতেছি।(দেখতেছি প্লেটে আমার সবচেয়ে প্রিয় তরকারি গরুর মাংস।এইটা হলে আর কিছু চাই না হাহাহা।মনে হচ্ছে আমি এই বাড়ির জামায় যে আদর যত্ন করে খাওয়াচ্ছে )
তারপর খাওয়া শুরু করলাম।কিন্তু বিপত্তি ঘটলো তখন  যখন খাওয়া শেষের পথে দেখতেছি আমার  পায়ে কি যেনো ঘুতা দিতেছে।যখন ঘুতা দিতেছে খুব লাগতেছে তাই 
আহ আহ আহ করতেছি।
কি হয়েছে বাবা এমন করতেছো কেনো।(আন্টি)
কিছু না আন্টি।যদি বলি তাহলে তো লজ্জায় পড়ে যাবো।
(রাফিজার দিকে তাকে দেখি সে মিঠি মিঠি হাসতেছে।এখন বুঝতে পারলাম এটা এর কাজ )
ওকে খাও বাবা।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে আন্টির কাজ থেকে বিদায় নিয়ে যখন গেট দিয়ে বাহির হবো তাতে 

স‍্যার মনে আছে তো আমার সর্তের কথা।কালকে থেকে যেনো পালন করেন।
পিছনে ঘুরে দেখি গেটে রাফিজা দারে এগুলো বলতেছে।হুম মনে আছে।

ঠিক আছে এবার জান।কালকে একটু তারাতারি আসবেন আইসক্রিম নিয়ে।

ওকে।তারপর রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে বাসায় যাচ্ছি।(আমার ছাত্রির বাসা থেকে আমার বাসা দশ থেকে পনেরো মিনিটের রাস্তা তাই হেটে যাচ্ছি।)

হেটে যাইতে যাইতে দেখতেছি একটা মেয়ের পোশাক দেখে খুব লজ্জায় পড়লাম।কারন এমন পোশাক পড়েছে বাহির থেকে তার সব কিছু দেখা যাচ্ছে।সবাই সেই মেয়েটার দিকে তাক লেগে দেখতেছে।কি যুগ আইলো ভাই ,এটা কি ডিজিটাল যুগ,ছোট ছোট কাপড় পড়ে অন‍্য জনকে নিজের ইজ্জদ দেখা।ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম।ইসলাম বলে মেয়েরা তোমরা সবাই বাড়ির বাহিরে গেলে পর্দা করে বের হবে কিন্তু এটা কয়টা মেয়ে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে আমি পর্দা করে বাড়ির বাহিরে বের হই।আরে এখন কার যে বোরকা এটাকে আপনারা বলেন কি এটা পর্দা ইসলামের।কিন্তু আমার দৃষ্টিতে এটা হচ্ছে ডিজিটাল বোরকা যে বোরকা পড়লে বাহিরে থেকে সব বুজা যায় আপনার শরীলের ভীতরে কি আছে।আপুরা এই রকম বোরকা না পড়লেও হয়।ওর চেয়ে বোরকা না পড়ায় ভালো তাও ডিজিটার বোরকা পড়িও না।বোরকা হচ্ছে একটা মেয়ের প্রকৃত সৌন্দর্য।যা পড়লে চাদের চেয়ে সুন্দর লাগে।এটাই শুধু বলবো আপুদের যুগের সাথে  তাল মিলে না চলে আল্লাহ্ কে ভয় করুন।পাপ থেকে বিরত থাকুন।অনেক কিছু বললাম ভূল হলে ক্ষমা করবেন।যা হচ্ছে তাই আমি আমার গল্পে ফুটে তুলেছি কেউ রাগ করিয়েন না প্লীজ পাঠক বন্ধুরা।
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে আমার বাড়িতে চলে আসছি।তারপর কি হলো তা পরের পর্বে পেয়ে যাবেন।

চলবে,,,,,?

(ভূল হলে হ্মমা করবেন।আর কেমন হয়েছে জানাতে ভূলবেন না।)#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#পর্ব_তিন

আরে না আমিতো ভয়ে ঘামতেছি।আমি মনে করছিলাম আমাদের মাঝে যে কথাগুলো হলো সেগুলো তোমার মা শুনতে পেয়েছে নাকি সেটার ভয়ে ঘামতেছি আমি।যদি শুনে পরের দিন আর তোমাকে পড়াতে আসতে পারবো না।
কেনো স‍্যার।
তুমি বুঝবা না,ওকে থাকো আমি গেলাম আর যেগুলো পড়া দিলাম ঠিক ভাবে পড়িও ওকে।
যাবেন মানে আম্মু কি বললো আপনাকে নাস্তা করে যেতে।না হলে আম্মু বাবাকে বলে দিবে।

ঠিক আছে চলো তারাতারি নাস্তা করে আমাকে বাড়িতে যাইতে হবে।(এখানে যত থাকবো ততো আমাকে বিপদে পড়তে হবে )

কেনো,আপনি কি বিয়ে করছেন নাকি।আমার জানা মতে তো আপনি বিয়ে করেন নাই।
কেনো এখানে বিয়ের কথা কই থেকে আসলো।আর আমি যদি বিয়ে করি তাহলে তুমি তো সবার আগে দাওয়াত দিবো।

(এ আইচে আমাকে দাওয়াত দিতে আমি তো আপনাকে স‍্যার বিয়ে করবো হাহাহা অন‍্য কাউকে আপনার ভাগ দিবো না।আমি তো আপনাকে সেই প্রথম দেখেই আপনার উপর ক্রাস খাইছিলাম।আপনি এখন আমার মনে প্রান জুড়ে আছেন।আমাকে বাদে যদি অন‍্য কাউকে বিয়ে করেন তাহলে আপনার খবর করে ছাড়বো।এগুলো কথা মনে মনে ভাবতেছি  আর হাসতেছি )

কি হলো রাফিজা একায় একায় হাসতেছ কেনো ,কই হারায় গেলে।কখন থেকে ডাকতেছি শুনো না কেনো।

(স‍্যার এর ডাকে আমার হুস আসলো।যে স‍্যার আমার সামনে দারে আছে।)জ্বী স‍্যার।তো আপনি নাকি বিয়ে করেন নাই তাহলে আপনার বাড়িতে তো বউ ও নাই যদি থাকতো তাহলে কথা ছিলো।আর আপনার বাসায় যাওয়ার এতো তারা কিসের হুম।

তুমি বুঝবা না?

যদি বুঝায় বলেন তাহলে সব বুঝবো স‍্যার।

তাতে দেখতেছি আন্টি ডাগতেছে,,

এই রাফিজা তোর স‍্যারকে নিয়ে আয়।
যাচ্ছি মা একটু দারাও,একটা অংক বুঝে নেই।অংক টা বুঝতেছি না।

ঠিক আছে তারাতারি নিয়ে আয় অংকটা বুঝে নিয়ে।

কি বেপার আগে জানতাম তুমি খুব দুষ্টু কিন্তু এখন দেখতেছি তো বিনা কারনেও মিথ‍্যা কথাও বলো।

কই স‍্যার,আমি মিথ‍্যা বললাম।
কেনো তোমার আম্মুকে বললা না যে অংক বুঝে নিচ্ছো কিন্তু আমরা তো বসে গল্প করতেছি।

স‍্যার আপনি একটু বেশি বলেন কেনো।আর কোন কথা না,চলেন নাস্তা করতে মা ডাকতেছে।
দুই জনে দুই তালা থেকে নিচে নামলাম নিচে নেমে আন্টি বলতেছে আমাকে,,
বাবা ঈমান এখানে বসো।

তারপর আন্টি যেখানে বসতে বললো সেখানে বসলাম।আর আমার সামনের চেয়ারে  দেখতেছী বসেছে আমার  দুষ্টু ছাত্রী রাফিজা  আমার সোজাসুজি হয়ে।ওর দিকে একটূ তাকাতেই আমাকে আবাক করে দিলো।
কারন ও আমাকে চোখ টিপা দিয়ে হাসতেছি।কি আজব মেয়ে রে মাইরি।সেও মরবে আমাকেও মারবে।
(স‍্যার এর সাথে কেউ এমন মজা করে।)

তো বাবা নাস্তা করবে না,ভাত খাবে।(আন্টি)

ভাত খাবো না এখন,নাস্তা দেন আন্টি।ভাত রাতে বাসায়  গিয়ে খাবো।
নাস্তা, না মা স‍্যারকে ভাত দেও।আজকে প্রথম আমাদের বাসায় খাচ্ছে।
(এই মেয়ে আজকে মনে হয় আমাকে মেরে ফেলার প্লান করতেছে।যতো তারাতারি এই বাড়ি থেকে বাহির হতে চাচ্ছি কিন্তু  এই মেয়ের জ্বালায় যাইতে পারি না।)

না,আন্টি আমি ভাতততত কথা শেষ না করতেই দেখতে আমার প্লেটে ভাত তরকারি দিয়ে দিয়েছে।কি আর করার খাইতেই হবে দেখতেছি।(দেখতেছি প্লেটে আমার সবচেয়ে প্রিয় তরকারি গরুর মাংস।এইটা হলে আর কিছু চাই না হাহাহা।মনে হচ্ছে আমি এই বাড়ির জামায় যে আদর যত্ন করে খাওয়াচ্ছে )
তারপর খাওয়া শুরু করলাম।কিন্তু বিপত্তি ঘটলো তখন  যখন খাওয়া শেষের পথে দেখতেছি আমার  পায়ে কি যেনো ঘুতা দিতেছে।যখন ঘুতা দিতেছে খুব লাগতেছে তাই 
আহ আহ আহ করতেছি।
কি হয়েছে বাবা এমন করতেছো কেনো।(আন্টি)
কিছু না আন্টি।যদি বলি তাহলে তো লজ্জায় পড়ে যাবো।
(রাফিজার দিকে তাকে দেখি সে মিঠি মিঠি হাসতেছে।এখন বুঝতে পারলাম এটা এর কাজ )
ওকে খাও বাবা।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে আন্টির কাজ থেকে বিদায় নিয়ে যখন গেট দিয়ে বাহির হবো তাতে 

স‍্যার মনে আছে তো আমার সর্তের কথা।কালকে থেকে যেনো পালন করেন।
পিছনে ঘুরে দেখি গেটে রাফিজা দারে এগুলো বলতেছে।হুম মনে আছে।

ঠিক আছে এবার জান।কালকে একটু তারাতারি আসবেন আইসক্রিম নিয়ে।

ওকে।তারপর রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে বাসায় যাচ্ছি।(আমার ছাত্রির বাসা থেকে আমার বাসা দশ থেকে পনেরো মিনিটের রাস্তা তাই হেটে যাচ্ছি।)

হেটে যাইতে যাইতে দেখতেছি একটা মেয়ের পোশাক দেখে খুব লজ্জায় পড়লাম।কারন এমন পোশাক পড়েছে বাহির থেকে তার সব কিছু দেখা যাচ্ছে।সবাই সেই মেয়েটার দিকে তাক লেগে দেখতেছে।কি যুগ আইলো ভাই ,এটা কি ডিজিটাল যুগ,ছোট ছোট কাপড় পড়ে অন‍্য জনকে নিজের ইজ্জদ দেখা।ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম।ইসলাম বলে মেয়েরা তোমরা সবাই বাড়ির বাহিরে গেলে পর্দা করে বের হবে কিন্তু এটা কয়টা মেয়ে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে আমি পর্দা করে বাড়ির বাহিরে বের হই।আরে এখন কার যে বোরকা এটাকে আপনারা বলেন কি এটা পর্দা ইসলামের।কিন্তু আমার দৃষ্টিতে এটা হচ্ছে ডিজিটাল বোরকা যে বোরকা পড়লে বাহিরে থেকে সব বুজা যায় আপনার শরীলের ভীতরে কি আছে।আপুরা এই রকম বোরকা না পড়লেও হয়।ওর চেয়ে বোরকা না পড়ায় ভালো তাও ডিজিটার বোরকা পড়িও না।বোরকা হচ্ছে একটা মেয়ের প্রকৃত সৌন্দর্য।যা পড়লে চাদের চেয়ে সুন্দর লাগে।এটাই শুধু বলবো আপুদের যুগের সাথে  তাল মিলে না চলে আল্লাহ্ কে ভয় করুন।পাপ থেকে বিরত থাকুন।অনেক কিছু বললাম ভূল হলে ক্ষমা করবেন।যা হচ্ছে তাই আমি আমার গল্পে ফুটে তুলেছি কেউ রাগ করিয়েন না প্লীজ পাঠক বন্ধুরা।
আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে আমার বাড়িতে চলে আসছি।তারপর কি হলো তা পরের পর্বে পেয়ে যাবেন।

চলবে,,,,,?

(ভূল হলে হ্মমা করবেন।আর কেমন হয়েছে জানাতে ভূলবেন না।)

0 Comments:

Post a Comment

GENRES

Subscribe Us

Facebook

 
Created By SoraTemplates | Distributed By Gooyaabi Themes