Home » » X-গার্লফ্রেন্ড_অফিসের_বস পর্ব ১

X-গার্লফ্রেন্ড_অফিসের_বস পর্ব ১

X-গার্লফ্রেন্ড_অফিসের_বস
❣️❣️
writer 📝 :- Mohammad Alauddin Sheikh (গল্প লেখক)
:::::
(আজ আমার অফিসে join করার তারিখ,,
:-মেম,, আসতে পারি?... (আমি অফিসে এসে মেডামের রুমের সামনে এসে বললাম)
:-yes,,coming .... (মেম)
(আমি রুমে ঢুকে মেমের দিকে তাঁকালাম,,,,
:-😳😳😳...(এঁকি দেখছি আমি)
:-ফারিয়া তুমি???? 😳 (আমি)
(ফারিয়া হলো আমার ইউনিভার্সিটির গার্লফ্রেন্ড)
(ফারিয়া আমার ডাক শুনে,, আমার দিকে তাঁকালো কিন্তু ফারিয়া,,,,
:-who are you? or why you call me #Fariya?
I am your boss...so nxt time call me #madam 😕 (ফারিয়া সম্পূর্ণ আমাকে না চিনে,,,,রুক্ষভাবে কথাগুলো বললো)
:-sry madam . 😒 (আমি মাথা নিচু করে বললাম)

:-হুমম,,,,এখন বলুন আপনার নাম কি?? (ফারিয়া মেডাম)  

(ফারিয়া খাতায় লিখতে লিখতে বললো,,,বসতেও বললো না) 

:-জ্বি মেম,,আমার নাম #আলাউদ্দিন.  (আমি)

:-হুমম,,,,এখানে কেনো আসছেন? (ফারিয়া)

:-মেম,,আমি এই অফিসের নতুন স্টাফ (আমি)

:- হোয়াটট,,আপনাকে চাকরি দিলো কে এই অফিসে??  🤨 (ফারিয়া রেগে তার হাতে থাকা কলমটি টেবিলের ওপর খুব জোরে রাখলো)

:-মেম কেও দেয়নি!! আমি সকল পরীক্ষা দিয়ে আপনার অফিসের চাকরি পেয়েছি?  
এই যে আমার join letter 📄 (আমি ফারিয়াকে আমার join letter  টি দিলাম) 

(ফারিয়া জোরে টান দিয়ে কাগজটি নিলো,,,😕 
তারপর কাগজের সবকিছু ঠিক আছে নাকি দেখতে লাগলো,,,,,,
তারপর দেখার পর,,,

:-আপনি এখন আসতে পারেন,,,আপনাকে এই অফিসে দরকার নেই? 😕 (ফারিয়া আমাকে চলে যেতে বললো)
 
:-কিহ্হহ্হ্ বলছেন মেম? আমাকে তো অফিসের স্টাফ হিসেবে কাজ দেওয়া হয়েছে? 😟 (আমি)

:-আমি তো সেটাই ভাবছি,,আপনার মতো লোক কিভাবে চাকরি পেলো,,,,,😕 

:-মেম,, চাকরিটা আমার খুব দরকার,,,😟 (আমি)

:-তো আমি কি করবো? আপনার চাকরি হবে না এখানে? বেয়মানদের চাকরি এখানে হয়না? 😕 (ফারিয়া) 

:-মেম? আমার চাকরিটা সত্যি খুব দরকার? এই কোম্পানির পরিচালক জনাব করিম চৌধুরী আমাকে চাকরিটি দিয়েছে? (আমি)

:-উনি আমার বাবা (ফারিয়া)

(ইস্,,আমার তো মনেই ছিলো না একদম,,ফারিয়ার বাবার নাম ছিলো,,,করিম চৌধুরী,,
কিন্তু কখনো উনাকে দেখ ছিলাম না).

:-সরি মেম,,জানতাম না!! 😞 (আমি)

:-আমি বাবার সাথে কথা বলতেছি,,আপনার চাকরি এখানে হবে না,,আপনি চলে  যান? 😕
(এই বলে ফারিয়া ফোনটি নিয়ে,,তার বাবাকে ফোন দিচ্ছিলো)  

(আমি তখন,,,
:-মেম,,প্লিজ আমাকে চাকরিটা থেকে বের করে দিবেন না? আমি পরবারের বড় ছেলে! 
পরিবারের দায়িত্ব আমার কাঁধে এখন। চাকরিটা আমার খুব দরকার। 
অনেক চেষ্টা করে চাকরিটা পেয়েছি!! আমার বাবা ঘরে পরে গিয়েছে,,ছোট বোনের পড়াশোনে,,সংসার চালানো,,,বাবা-মা অসুস্থ,,,,
দোয়া করুন,,,চাকরিটা না পেলে আমার অনেক বড় সর্বনাস হয়ে যাবে? 
প্লিজ মেডাম,,,,আমাকে চাকরিটা থেকে বের করে দিবেন না? 😥😥  (আমি হাত জোড় করে চাকরিটা বিক্ষা চাইলাম ফারিয়ার কাছে)  

(আমি জানি,,ফারিয়ার সাথে আমি অনেক খারাপ করেছি,,,কিন্তু তখন আমার হাতে অন্য কোন পথ ছিলো না!! 
যদি আমার অবস্থাটা ফারিয়া জানতো তাহলে হয়তো,,,কখনো ফারিয়া আমাকে ঘৃণা করতো না 😥 
যাই হোক,,,জানি না চাকরিটা পবো কিনা?)

(কিন্তু ফারিয়া,,, ফোন না দিয়ে,,ফোনটি রেখে দিলো!! 
তারপর আবার আমার কাগজগুলো নিয়ে একটি সাইন করলো,,,,
তারপর বললো,,,,

:-শোনেন,,আপনাকে চাকরিটা দিচ্ছি,,আপনার পরিবারের অবস্থার কথা শুনে? তবে আপনাকে স্পষ্টভাবে একটি কথা মেনে চলতে হবে? 😕 (ফারিয়া রেগে আমার দিকে তাঁকিয়ে বললো)  

:-আমি সব কথা মেনে চলবো মেম?  বলুন মেডাম কি কথা? (আমি মুখে সোস্থির হাঁসি ফুঁটে উঁঠলো) 
(কারণ চাকরিটা না পেলে,,আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে যেতো!! 
আর তাছাড়া আমার ছোট বোনের বিয়ে দিতে হবে) 

:-শুনুন,,,সততার সাথে কাজ করতে হবে আপনাকে!! প্রতারণা ,, বেয়মানি এখানে চলবে না? নাহলে ঘাঁড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো অফিস থেকে? 🤨  (ফারিয়ে রেগে বললো) 

:-😞😞...(আমি বুঝতে পারলাম ফারিয়া কেনো আমাকে প্রতারণা আর বেয়মানি করতে বারণ করলো)

:-কি হলো চুপ কেনো? 😕 (মেম)

:-জ্বি মেম,,অবশ্যই বিষয়টি আমি মেনে চলবো? 😥 (আমি) 

(খুব কান্না পাচ্ছে,,কারণ ওকে হারিয়ে তো,,আমিও আজ পর্যন্ত রাত্রে কান্না করছি,,,😥 
পাগলিটার মতো আমিও ওকে খুব ভালোবাসতাম) 

:-হুমম,,,আপনি এখন আসতে পারেন? (মেম) 

:-কিন্তু মেম? আমার তো কাজ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই,,,,,,আমাকে কারো আন্ডারে দিবেন না,,,যে আমাকে কাজগুলো বুঝিয়ে দিবে? (আমি)

:-আপনি কচি খুঁকি না,,যে আপনাকে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে!! এঁকাই কাজ করতে হবে আপনাকে? (ফারিয়া)

:-কিন্তু মেম,,আমারর তো কোন ধারণা নেই এই অফিসের কাজ  সম্পর্কে,,,
আর তাছাড়া এটি তো নিয়ম নতুন লোককে সবকিছু শিখিয়ে দেওয়া  (আমি)

:-আপনাকে এভাবেই কাজ করতে হবে!! আর এই যে ধরুন,,,আজকের মধ্যেই এই ফাইলটির কাজ শেষ করে, আমার কাছে জোমা দিবেন? (ফারিয়া) 
(আমাকে একটি ফাইল ধরিয়ে দিলো) 

:-কিন্তু মেম?   (আমি)

(আমাকে বলতে না দিয়ে,,,

:-কোন কিন্তু না,,যান আপনি এখন? আর ৩ নম্বর সিটটা আপনার কাজের স্থান!. (ফারিয়া)

:-আচ্ছা....(আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ চলে আসলাম!! 
কারণ বেশি কথা বললে হয়তো আমার চাকরিটাও চলে যেতে পারে 😥)  
::
::
আমি ফারিয়ার রুম থেকে বের হয়ে দেখি,,,অফিসের সকলে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে,,
আর আমাকে দেখে,,সকলে এসে আমার সাথে পরিচিত হতে লাগলো। 
:-হ্যালো,,আমি  ফারহাদ?  (ফারহাদ)
:-আমি আলাউদ্দিন? (আমি)
:-আমি নুসরাত,,(মেয়ে স্টাফ) 
:-আমি নাবিলা  (নাবিলা)
:-আমি ফেরদোস!!  (ফেরদোস) 
(মোট আমরা ৬জন স্টাফ,,,,তার মধ্যে আমি নতুন!! 
ফারহাদ,,নুসরাত,,নাবিলা,,,ফেরদোস,,আর আমি! 
আর একটি মেয়ে আছে!! যে কাজ করতেছে,, পরিচিত হতে আসেনি আমার সাথে) 

:-তো young man,,,কার আন্ডারে দিলো  আপনাকে? (ফারহাদ ভাই) 
 
:-কারো আন্ডারে না? 😞  (আমি)

:-what's? 😳 (অবাক হয়ে নুসরাত) 

:-মানে কি/  (ফেরদোস) 

:-হুমম,,,আমাকে কারো আন্ডারে দেয় নি,,আর এই ফাইলটি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,,,,বিকালের মধ্যে কাজ শেষ করে দিতে? (আমি)

:-বুঝলাম না,,মেডাম এমন করলো কেনো? মেডাম তো এমন না?  (নাবিলা)

:-হুমম,,,,আপনি কাজ করবেন কিভাবে? (নুসরাত) 

:-জানি না...😢 (আমি)

:-আচ্ছা দেখি আপনার সিট কোথায় দিছে? (ফেরদোস)

(ফেরদোস ভাই,,আমার হাত থেকে কাগজটি নিয়ে,, দেখে বললো,,,

:-ভাই,,আপনি শেষ? (ফেরদোস)

:-মানে? 😟  (আমি)

:-আপনার ক্যাবিন পড়েছে,, সুজাতা মেডামের সিটের পাশে? (ফেরদোস)

:-কিহ্ বলছেন? (নাবিলা ফেরদোসকে বললো)

:-আচ্ছা,,,সুজাতা কে? আর উনার পাশে পড়েছে তো কি হয়েছে?  (অবাক হয়ে আমি)  

:-আরে ভাই,,ওই যে সিটে যিনি বসে আছেন উনিই সুজাতা,,,
আর উনি কারো সাথে বেশি কথা বলে না,,,সাহায্য করা তো দূরের কথা!! 
আমাদের কারো পাশে সিটটা পড়লে আমরা আপনাকে কাজ গুলো বুঝিয়ে দিতাম!!  (ফারহাদ বললো)

:-কিহ্হ্হ্,,,বলছেন? উনি এমন কেনো/ 😟 (আমি)

:-জানি না ভাই,,,,কেনো এমন উনি? (ফারহাদ)

:-আচ্ছা,, আপনি এই বইটি পড়ে কিছুটা সাহায্য পেতে পারেন/
 (নাবিলা আমাকে একটি অফিসের কাজের ধারণার উপর একটি বই দিয়ে বললো) 

:-হুমম,,,এই বইটি আপনাকে সাহায্য করবে? (নুসরাত)

:-ধন্যবাদ,, (আমি বইটি নিয়ে বললাম) 

:-ওকে ভাই!! all the best...(ফারহাদ) 

:-ধন্যবাদ!! 
(তারপর যে যার যার মতো কাজ করতে গেলো)

::
:;
আর আমি ধীরে ধীরে আমার সিটে গেলাম!! 
কিন্তু সুজাতা নামের মেয়েটি একবার ফিরেও তাঁকালো না আমার দিকে,,,,
কিন্তু আমি নতুন ভদ্রতার খাতিরে,,,
উনাকে সালাম দিলাম আমি,,

:-আসসালামু আলাইকুম? (আমি)

:-ওলাইকুম সালাম!! (আমার দিকে তাঁকিয়ে সালামের উত্তর নিলো,, তারপর আবার কাজে মনোযোগ দিলো)

তাই আমিও আর উনাকে বিরক্ত করলাম না!! 
আমি আমার সিটে বিসমিল্লাহ বলে বসলাম,,,
তারপর ফাইলটা খুলে বুঝার চেষ্টা করলাম কি করতে হবে আমাকে,,
কিন্তু কিছুই বুঝছি না,,সবকিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে!! 
আমি ফাইলের পাতাগুলো,নাড়াচাড়া করতে লাগলাম,,,,
তখন পাশ থেকে সুজাতা মেয়েটি বলে উঠলো,,,

:-আচ্ছা আপনার নাম কি? (সুজাতা)

(আমি খুঁশি হলাম,,হয়তো উনি আমার অবস্থা দেখে সাহায্য করতে চাচ্ছে,,,
আমি দেরি না করেরে,,দ্রুত আমার নাম বললাম,,

:-জ্বি আমার নাম #আলাউদ্দিন? (আমি)

:-মিস্টার আলাউদ্দিন,,, আপনি অনেক শব্দ করছেন,,যার জন্য আমি কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না,,,
প্লিজ শব্দ করবেন না,,,,যদি আবার করেন,, তাহলে আপনার বিরুদ্ধে আমি কমপ্লেইন্ট করতে বাধ্য হবো? (সুজাতা)

:-😟😟😟...(নিমিশেই আমার মুখ থেকে হাঁসিটা উঠে গেলো)

:-আশা করিরি,,,,মনে রাখবেন/ (এই বলে উঁনি আবার কাজে মনোযোগ দিলো)

:-সরি 😟😟 (আমি)

::
::
এরকম মেয়ে মানুষ আমি জীবনেও দেখিনি!!  
যাই হোক,,,নিজেকে অনেক অপরাধী মনে হচ্ছে,,,
দীর্ঘ ৩ বছর পর,,,,,ফারিয়ার সাথে আমার দেখা হলো,,,,
জানি ফারিয়া আমার উপর প্রতিশোধ নিতেই আমাকে কারো আন্ডারে দেয় নি,,,
আমি ফারিয়ার সাথে যা করেছি,,,তারপরেও যে ফারিয়া আমাকে চাকরিটা দিয়েছে,,,এটা আমার ভাগ্য!! 
অন্য কেও হলে,,,আমাকে জুতাপিটা করে অফিস থেকে বের করে দিতো? 
::
::
অফিস টাইম,,তাই আর পুরো কথাগুলো নিয়ে আর ভাবলাম না,,,,,
আমি চুপচাপ নাবিলা আপুর দেওয়া বইটা বের করে পড়তে লাগলাম,,
বইটিতে কিভাবে কাজ করতে হবে লেখা আছে!! 
তবে বইটা পড়ে আমি সম্পূর্ণ বুঝতে পারছিলাম না!!
অনেকক্ষণ পড়ে,,ভাবার পর,,,,অনেকটা ধারণা পেলাম কাজ সম্পর্কে!! 
::
::
::
তারপর ফাইলটা নিয়ে ধীরে ধীরে ভেবে চিন্তে কাজ করতে লাগলাম,,
কাজ করতে করতে কখন যে launch এর সময় পার হয়ে গেছে বুঝিনি!! 
হঠাৎ,,,,নুসরাত আর নাবিলা আপু এসে বললো,,,

:-মিস্টার আলাউদ্দিন সাহেব? লান্স করবেন না? (নাবিলা)

:-জ্বি? কখন সময় পার হয়ে গেছে বুঝিনি? (আমার তাদের দিকে তাঁকিয়ে বললাম)

:-তাই,,তো কাজ সম্পর্কে কোন ধারণা পেলেন? (নুসরাত)

:-জ্বি,,নাবিলা আপুর দেওয়া বইটা অনেক সাহায্য করেছে?   (আমি)

:-বুঝলে,,ভালো!! এখন চলুন লান্স করবেন/ (নাবিলা)

:-ওকে চলুন? 
(তারপর আমরা সকলে খেতে গেলাম,,,
কিন্তু সুজাতা মেয়েটি আসলো না,,,,)

::
::
যাই হোক খাবার টেবিলে বসে আমরা সকলে খাবার খাচ্ছিলাম,,
তখন আমি সবাইকে একটি কথা জিঙ্গাসা করলাম,,,

:-আচ্ছা একটি কথা জানার ছিলো? (আমি)

:-জ্বি বলুন? (ফারহাদ)

:-বলছিলাম,,,আমাদের ফারিয়া মেডামের husband  দেখতে কেমন? (আমি)

:-আরে ফারিয়া মেডামের হাসবেন্ড আসবে কোথা থেকে? (নুসরাত)

:-কেনো উনি বিয়ে করেন নি? 😳😳😳 (আমি সম্পূর্ণ অবাক হলাম)

(কারণ এই বিয়ের জন্যই,,,আমার আর ফারিয়ার সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছিলো)  

:-আরে মেডামের বিয়ে ৩বছর আগে একজনের সাথে আমাদের বস বিয়ে ঠিক করেছিলো,,মানে মেডামের বাবা? (ফারহাদ)

:-হুমমম....তারপর? (আমি)

(আমি তো এটি জানতাম 😳)

:-কিন্তু বর যাত্রি আসার সময় রাস্তায় তাদের এ্যাকসিডেন্ট হয়,,আর বরও মারা যায়? 
আর মেডামের বিয়েও হয়নি। (ফারহাদ ভাই)

:-😳😳😳😳....(আমি সম্পূর্ণ অবাক হয়ে গিয়েছি) 

:-তারপর থেকে মেডামকে বিয়ে দিতে মেডামের বাবা অনেক জোড় করেছে,,
কিন্তু মেডাম বলে দিয়েছে,,তিনি আর জীবনে বিয়ে করবেন না!! উনাকে যেনো জোড় না করে?  (ফারহাদ)

:-😢😢 (এঁকি শুনছি আমি,,,
আমার ভালোবাসা এখনো কি আমারই আছে!! 
আমি জানতাম ফারিয়াকে জোড় করে বিয়ে দিচ্ছে ওর বাবা!! 
কিন্তু ওর সাথে যে এমনটা হইছে,,আমি বুঝতে পারিনি!!)

:-কি হলো আপনার চুপ কেনো? (নাবিলা আমাকে বললো)

:-নাহ্হ্ কিছু না!! চলুন যাই এখন?  (আমি)

(তারপর সকলে  যার যার কাজে গেলাম)
::
::
সত্যি বলতে আমার আর একটুও কাজে মন বসছে না!! 
ফারিয়ার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে? 
আমি অনেক বোকা!! আমি যদি তখন ফারিয়ার খবর রাখতাম তাহলে,,, আমি হয়তো এই কথাগুলো জানতে পারতাম,,,
আর ভালোবাসা আমার কাছেই থাকতো!! 
কিন্তু বোকামির মতো,,আমি ফারিয়াকে সব জায়গায় ব্লক করে দিয়ে ছিলাম!!  
আমি ওর থেকে দূরে থাকতে,,আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে গিছিলাম অন্য জায়গায়!! 
যাতে ফারিয়াকে ভুলে থাকতে পারি!! 
যাতে ফারিয়া আমার কোন খোঁজ না পায়?  
কিন্তু আমি তখন ভুল করে ছিলাম অনেক বড়!! 😢😢 
যা আমি এখন বুঝতে পারছি!! 
আমি এখন কি করবো?   
আমি কি এখন ফারিয়ার কাছে গিয়ে আবার ভালোবাসার কথা বলবো,,,,নাহ্ এটি করবো না!! আমাকে তাহলে ও লোভী বলবে!! 😢😢 
জানি না কি করবো? 
::
::
আমি ধীরে ধীরে কাজ করতে লাগলাম!! 
ফাইলের কাজটি শেষ করলাম,,,বইটি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে কাজটি করতে!!  
ছোট্ট একটি বই,,আমি সম্পূর্ণ ভালো মতো পড়েছি বলে ফাইলের কাজটি শেষ করতে পেরেছি!! 
মনে হচ্ছে,,,কাজটি সম্পূর্ণ  নির্ভুলভাবে করেছি!! 
আমি ফাইলটি নিয়ে ফারিয়ার রুমের দিকে যেতে লাগলাম!! 
::
::
ফারিয়ার রুমের সামনে গিয়ে,,, 
:-মেম আসতে পারি? (আমি)

:-জ্বি আসুন? (ফারিয়া) 

:-মেম ফাইলটির কাজ শেষ করেছি,,,একটু দেখবেন কাজটি সঠিত হয়েছে কিনা? (আমি)

:-😳😳...(ফারিয়া অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো)

(কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখলাম,,,ফারিয়ার চোখ লাল হয়ে আছে,,,
তার মানেনে ফারিয়া কান্না করেছে,,,
কারণ ফারিয়া প্রচুর কান্না করলে ওর চোখ প্রচুর লাল হতো!!)

(আমি ফারিয়ার চোখের দিকে তাঁকিয়ে থাকলাম)

(ফারিয়া ব্যাপারটা বুঝতে পেরে,,,নিজের চোখ গুলো আমার থেকে লুকানোর চেষ্টা করছিলো)  

(তাহলে কি ফারিয়া আমার জন্য কান্না করেছে 😢)

:-গুড,,ভালো কাজ করেছেন?  কোন ভুল হয়নি? (ফারিয়া)

:-সত্যি বলছেন?  ঠিক হইছে? (আমি খুঁশি হয়ে)

:-হুমম,,,কার কাছ থেকে সাহায্য নিয়েছেন? (ফারিয়া)

:-মেডাম কারো কাছ থেকে সাহায্য নেয় নি? বই পড়ে ধারণা পেয়েছিলাম!! (আমি)

:-এই ফাইলটি ধরুন? কালকে দুপুরে দিবেন? মনে রাখবেন ১ লক্ষ টাকার    ফাইল এটি? (রেগে বললো)

:-মেডাম,, এতো বড় কাজ আমাকে দিচ্ছেন,,আমি কি পারবো? 😟 (আমি)

:-পারবেন কিনা জানি না?   তবে মনে রাখবেন,,,ভুল করলে আপনার চাকরি চলে যেতে পারে? 
আপনি এখন আসতে পারেন? 😡😡  (ফারিয়া)

(বুঝতে পারলাম,,ফারিয়ার মনে আমার জন্য আর কোন ভালোবাসা নেই,,আছে শুধু ঘৃণা😢😢 
যদি এতোই ঘৃণা করো,,তাহলে কান্না করো কেনো?)  
::
::
আমি মাথা নিচু করেরে বের হয়ে আসলাম,,
তারপর সময় মতো,,,অফিসের কাজ শেষে বাসায় আসলাম!! 
বাসায় আসার সময় মনে পড়লো,,,ছোট বোন বলেছিলো,,,
"ভাইয়া,,,আমার জন্য কিছু খাতা কলম নিয়ে এসো""
পকেটে দেখি ২০০ টাকা আছে,,,ওই টাকা দিয়ে খাতা কলম কিনে বাসায় গেলাম!! 
::
::
বাসায় গিয়ে,,,দেখলাম বাবা-মার মুখে হাঁসি!! 
কারণ আমি চাকরি পেয়েছি!!  
আমাদের দুঃখের দিন শেষ হবে!! 
তারপর ছোট বোন আমার কাছে ছুৃ্টে আসলো,,
বোন এসে বললো,,,
:-ভাইয়া,,,,আমার প্রাইবেটের তিন মাসের বেতন বাকি!! স্যার বলছে!! এই মাসে সব বেতন না দিলে,,যেতে বারণ করছে? (বোন মন খারাপ করে)

:-কবে মাস শেষ হবে? (আমি)

:-আর তিনদিন পর? (বোন)

:-ওকে,,আমি সব দিয়ে দিবো? (আমি) 

:-বাবা,,তোর বাবার ঔষুধ ও শেষ হয়ে গিছে? (মা বললো)
(মা বাবার ঔষুধের কথা বললো,,কিন্তু নিজের ঔষুধের কথা বললো না,,,
কিন্তু আমি জানি,,মার ঔষুধও শেষ) 

:-আচ্ছা,,মা! আমি কালকে তোমাদের দুজনের ঔষুধ এনে দিবো!! (আমি) 
(কিন্তু টাকা কোথায় পাবো জানি না,,,
আমার কাছে শেষ   ২০০টাকাই ছিলো,,যা দিয়ে বোনের জন্য খাতা কিনছি!!😟) 

(বোনকে খাতা কলম দিলাম,,
বোন খুঁশি হয়ে ওর রুমে চলে গেলো) 

:-বাবা,,আয় খাবার খেয়ে নে? (মা)

:-নাহ্হ্,,মা খাবো না!! বাইরে থেকে খেয়ে  আসছি! (আমি)
(আমার গলা দিয়ে খাবার নামবে না,,,কারণ   মাথায় সংসারের চালানোর চিন্তা)

(আমি আর কিছু না বলে,,রুমে এসে শুয়ে পড়লাম)  

(পরিবারের বড় ছেলেদের কষ্টগুলো হয়তো,,চার দেওয়ালের মধ্যেই থেকে যায় 😢😢)
::
::
::
::
গল্পটি  নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা আছে আমার!! 
অনেক অনেক ভালো লাগবে আপনাদের!!  
তাই সারা দিবেন সকলে! যাতে আমাকে গল্প লিখতে উৎসাহ দেয়? 
::
::
::
#চলবে
::
::
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন?

0 Comments:

Post a Comment

GENRES

Subscribe Us

Facebook

 
Created By SoraTemplates | Distributed By Gooyaabi Themes