সাইকো দ্যা রাফিয়ান (৬ষ্ট পর্ব)
লেখক> Abir Hasan Niloy (মি. ভূত)
...
নিলয় চেয়ার টেনে বসে। একটা সিগারেট জ্বালায়। নিকোটিনের গণ্ধ নিলয়ে প্রিয়, সাথে লাল রঙা রক্তের গন্ধও। আচ্ছা তাজা রক্তের কি কোনো গন্ধ আছে? নিলয় অনেকবার এই প্রশ্নের উত্তর খুজেছে কিন্তু পাইনি। মাহফুজ সাহেবের বুক থেকে যখন লাল তাজা রক্ত বের হয়ে ফ্লোরে পড়ছিল তখন নিলয় উবু হয়ে বসে রক্তের গন্ধ নিচ্ছিল। তখন কেউ একটুও অবাক হয়নি। কারন প্রতিবারই নিলয় যাকে মারে তার রক্তের গন্ধ সে এভাবেই নেয়। কতবার যে অর্ক, মাসুম প্রশ্ন করেছে "ভাইয়া কেনো করো তুমি এমন?" নিলয় কোনো উত্তর দেয়নি কোনোদিন তাদের। কেবল মুচকি হেসে রক্তের দিকে তাকিয়ে বলে "নেশা রে?"
.
নিলয় নিলার দিকে তাকিয়ে আছে। নিলা এতক্ষন পুরোনো দিনের সেইসব কথাগুলো ভাবছিল বসে বসে। নিলয় বলে..
- নিলা,আমি তোমাকে ভালবেসেছি, তোমার শরীর নয়। যদি শরীরকেই ভালবাসতাম তবে অনেকদিন আগেই নিজের ইচ্ছে পূরণ করে নিতে পারতাম তার জন্য বিয়ের কোন দরকার ছিলনা। ঠিক আছে এ বিয়ে হবেনা।
নিলা নিলয়ের দিকে তাকায়। কেনো যেনো নিলয়ের প্রতি কোনো প্রকার টান নিলা অনুভব করে না। তবে এখন নিলয়ের মুখে নিলার প্রতি অভিমানের বিষাদু সুর তা নিলা ঠিকই বুঝে পেরেছে। তবুও নিলা জোরে হাসি দিয়ে বলল..
- বাহ্ খুব ভালতো। আপনি কি ভেবেছেন আমি আপনার চালাকি বুঝতে পারিনি?
- চালাকি? কিসের চালাকি?
- সবাই জানে আপনি আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। একটা রাত কাটিয়েছি আমি। তো বুঝতেই পারছেন সমাজে আমার সম্মানটা এখন কত বড় হয়ে গেছে। আবার বলছেন আমাকে বিয়ে করবেন না, মজা নেন মিয়া? তার উপর আমার আইডি থেকেই নাকি বলে বেরিয়েছি আপনি আমার হাজবেন্ড।
- ওটা মাসুম, করেছে আমি না।
- থাক আর কিছু বলতে হবে না। এখন এমন হয়ে গেছে সবকিছু, আপনাকে আমার বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমি আর নিতে পারছিনা তাই বিয়েটা করবেন ভাল কথা, বিয়ে আজকেই হবে।
- তুমি যা বলছ ভেবে বলছতো?একবার বিয়ে হলে কিন্তু আমাকে ছাড়তে পারবেনা। (নিলয়)
- ছাড়া বা গ্রহণ করার অধিকার আদৌ আমার আছে কি?
- এখন তো সময় আছে ভেবে নাও।
- ভাবা শেষ।
.
নিলয় রুম থেকে বের হয়। পুরো বাড়ি বিয়ের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে। নিলয় ছাদে এসে দাঁড়ায়। পকেট থেকে ফোন আর সিগারেট বের করে। সিগারেট জ্বালিয়ে টান দিতে দিতে সাকিব ভাইকে কল দেয় ও।
- নিলয়, বলেছিলাম না, নিলাকে তোমার পাইয়েই দেবো। শুধু বোনটাকে কষ্ট দিও না।
- কতগুলো প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরছে ভাই। (নিলয়)
- বলো।
- তুমি তো জানতেই আমি খুব খারাপ। একটা বড় লেভেলের পাগলাটে মাস্তান ও খুনি। আর এই পাগলাটে স্বভাবের কারনেই নেহাকে মরতে হয়েছে। তবুও কেনো তুমি আমার জীবনে নিলাকে তুলে দিলে?
- তুমি কি নিলাকে ভালোবাসো না?
- হুমম বাসি, কিন্তু কেনো বাসি সেটারর কারনও আমার কাছে অজানা। তুমি তো জানতেই নেহাকে আমি কতটা ভালোবাসতাম। অন্য কাউকে কখনো ভালোবাসবো কিনা সেটা ভাবিনি। কিন্তু সবকিছু এই তোমার জন্যই হয়ে গেছে। হুট করে এসে বললেন, নিলয় আমার বোন ভার্সিটিতে আসছে, যে করে হোক ওর সাথে কথা বলো, ওর কাছে থাকো। তাই তো আমি প্ল্যান মাফিক হৃদয় আর অর্ককে নিয়ে গেমটা খেললাম। কিন্তু বুঝতে পারছি না, তুমি ওর ভাই হও, মানছি তুমি ওর আপন ভাই না। তবুও আমার সাথে জড়িয়ে দিলে?
- সব জানতে পারবে নিলয়। তুমি এখন বিয়ের জন্য রেডি হও। আর ফোন তুমি নও আমিই দেবো এখন থেকে। (সাকিব ভাই)
ফোনটা কেটে গেল। নিলয় কেমন যেন রাগে কাঁপতে লাগল। তবুও সে নিজেকে কোনোভাবে সামলে বিয়ের জন্য রেডি হয়। সেদিন রাতেই বিয়েটা হয়ে যায় ওদের।
.
তারপর রাতেই নিলয়দের বাসায় চলে আসে নিলা। নিলার বা মায়ের প্রতি নিলার কোন রাগ বা অভিমান নেই, তারা যা করেছে সমাজের জন্য করতে বাধ্য হয়েছে। যদি কেউ দোষী হয়ে থাকে তবে সে নিলয়। বিয়েতো ওদের হয়েছে ঠিকই তবে এ জীবনে নিলা তাকে কখনও শান্তিতে থাকতে দেবে না এসব কিছু বাসর ঘরে বসে বসে নিলা ভাবছে।
বাসর রাত নাকি নতুন জীবন শুরু করার রাত। নিলা নিলয়কে সুখে থাকতে দেবে না সেটা ভেবেই নিলা মাঝে মাঝে পৈশাচিক হাসি দিয়ে উঠছে। এতদিন নিলয় নিলাকে পাবার জন্য অনেক কষ্ট দিয়েছে আর সেসব নিলা সহ্য করেছে কিন্তু এবার নিলা তাকে কষ্ট দেবে। নিলয় বাসর ঘরে প্রবেশ করে নিলাকে বলে..
"অনেক রাত হয়ছে, তুমি আগে ফ্রেশ হয়ে আস আমি পরে যাব।"
.
নিলা কোন কথা না বলেই ফ্রেশ হতে চলে যায়। কিছুক্ষন পর সে বের হয়। নিলয় রুমের মধ্যে পায়চারি করছে। নিলাকে দেখে হা হয়ে চেয়ে থাকে। কারন নিলা শাড়ি ছেড়ে ফিরোজা কালারের থ্রি পিচ পরে এসেছে। আর এটাতেই নিলাকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। নিলয় বলে..
- তোমকে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে।
- আমি এমনিতেই সুন্দরী। না হলে পিছনে ঘুরতেন না। আর এই সুন্দরকে ছোয়ার চেষ্টা করবেন না। একটা কথা কান পরিষ্কার করে শুনে রাখুন বিয়ে করার স্বাদ জেগেছিল পূরণ করেছেন এখন আমাকে নিজের দাসি বানাবেন এমনটা ভেবে থাকলে ভুল ভাবছেন। আমি আমার ইচ্ছামতই চলব আপনার কথায় না।
- আচ্ছা ঠিক আছে যা ইচ্ছে কর আমিও দেখতে চাই তুমি কি করতে পার আর কতটুকু করতে পার?
- আমার ঘুম পাচ্ছে আমি এখন ঘুমাব আর একটা কথা ভুলেও আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না।
- বাহ্ বিয়ে করেছি কি দূরে থাকার জন্য নাকি?
- কেন আপনি না বলেছিলেন আপনি মহা পুরুষ আমার শরীরের প্রতি আপনার নাকি কোন লোভ নেই?
- হুম ঠিকইতো বলেছি আমি তোমাকে ভালবাসি আর এখন বিয়ে যেহেতু হয়ে গেছে তখন তোমার সবকিছুর উপরই আমার অধিকার রয়েছে তুমি তা অস্বীকার করতে পারনা।
- এই আপনার ভালবাসা?
- কেন আমিতো আগেই বলেছি আমি খুব স্বার্থপর প্রেমিক নিজের প্রাপ্য আমি ঠিক আদায় করে নিব।
- আগে আমার ভালবাসাটা আদায় করুন পরে নাহয় শরীরের উপর অধিকার ফলাতে আসবেন।
- ঠিক আছে শর্ত মেনে নিলাম। শরীরের উপর অধিকার পরে। কিন্তু একটা কথা মানে রেখ আমি তোমার স্বামী।
.
নিলা মুচকি হাসে। নিলয় ওর হাসির দিকে তাকিয়ে হাসির কারন খোজার চেষ্ট করছে। নিলা মনে মনে ভাবছে "তোমার মত গুন্ডা স্বামীকে বোঝাবো কি করে সুখে থাকতে হয়। আমাকে তো চিনো না তুমি। সময় হোক ঠিকই বুঝতে পারবে।"
- আপনি সোফাতে ঘুমাবেন। (নিলা)
- কোনো? আমার বেড থাকতে আমি সোফাতে ঘুমাবো কেনো?
- আমি বেডে আপনি সোফাতে। বললাম না আগে আমার ভালোবাসা পান তারপর সবকিছু। আর কি এমন রাফিয়ান আপনি যে একটা মেয়েকে বিয়ে করতে পারলেন তার ভালোবাসা নিতে পারবেন না।
- ঠিক আছে, ঠিক আছে। আমি সোফাতে ঘুমাচ্ছি। আর তোমার ভালোবাসা তো আমি পেয়েই ছাড়বো। (নিলয়)
.
দুজনে ঘুমিয়ে পড়ে।সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিলা অবাক চোখে তাকিয়ে দেখে নিলয় বেডে ঘুমিয়ে আছে। নিলা এভাবে নিলয়কে দেখে সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে একমগ পানি এনে তার উপর বর্ষন করল। নিলয় ধুম করে উঠে চিল্লিয়ে বলতে লাগল..
- কার এত বড় সাহস আমার উপর ঠান্ডা পানি ঢালে?
-;আর কার এত সাহস হবে জনাব আপনার তথাকথিত বউ ছাড়া? আপনি বিছানা ছেড়ে উঠবেন নাকি আরো পানি আনবো? নিজের জায়গাতে থাকবেন বুঝছেন?
- এই না না। এমন কেন করছ তুমি, জানোনা আমার এত সকালে ঘুম ভাঙ্গেনা?
- নাহ জানিনা। আর অন্যের সুখ হারাম করে নিজের সুখের নিদ্রায় শায়িত হবেন তা আমি থাকতে যে হতে দিতে পারিনা। আর আপনার সাহস হল কেমনে সোফা থেকে বেডে আসার?
- নিজের বেডে আসতে আবার তোমার অনুমতি লাগবে নাকি আর কি করব রাতে ঠান্ডা লাগছিল তাই..
- তাই কি? ঠান্ডা লাগছিল তো কম্বল নিয়ে শুতে পারলেন না?
- মনে ছিল না।
- একদম কাছে আসার বাহানা খুঁজবেন না।আর নিজের শর্তের কথা মনে আছে?
- হুম বেশ মনে আছে আর তোমার কাছে যাওয়ার জন্য আমার কোন বাহানার দরকার নেই। আমি চাইলেই..
- চাইলেই কি?
- চাইলেই তোমাকে কাছে পেতে পারি ঠিক এভাবে..
.
কথাটা বলেই নিলয় নিলার হাত ধরে টান দিয়ে ওর কাছে নিয়ে আসে। নিলা ভয়ার্ত দৃষ্টিতে নিলয়ের দিকে তাকায়। নিলয় বিছানায় ইচ্ছেকৃত ভাবে আসেনি। রাতে সাকিক ভাইয়ের সাথে দেখা করে, মাহফুজ সাহেবের ঝামেলা নিয়ে অনেক রাত করে বাসায় ফিরতে হয়েছে। বলতে গেলে ভোরের দিকেই নিলয় বাড়িতে এসেছে। তাই এসে কখন যে বিছানায় গা এলিয়ে দিতে ঘুম চলে আসে নিলয় খেয়ালই করেনি। নিলয় নিলাকে কোলের উপর বসাতেই নিলা বলল..
- দেখুন আমি কিন্তু চিৎকার দিব।
- দাওনা কে আটকিয়েছে? তবে কি বলবে চিৎকার দিয়ে?
- যা সত্য তাই বলব। বলব আপনি আমার সাথে অসভ্যতা করছেন।
- আমি কিন্তু এখন কিছুই করিনি বরং তুমিই আমার আরামের ঘুমটা হারাম করেছ। এখন বলেছ যেহেতু সেহেতু কিছু অসভ্যতা করাই যায়। কি বল? আর তুমি আমার বউ বলে কথা। তোমার সাথে প্রেম করবো, ভালোবাসবো আর অসভ্যতামি করবো না তা কি হয়? ওটাই তো প্রেম।
- একদম কাছে আসবেন না।
কথাটা বলেই নিলা নিজেকে নিলয়ের থেকে ছাড়িয়ে নেয়। দৌড়ে রুম থেকে বের হয় নিলা।নিলয় কেবল চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। এরাকম পাগলামো নেহাও করতো। নিলয় কিছুক্ষন বসে বসে নেহার কথা চিন্তা করতে থাকে।
.
নিলয়ের কেউ নেই। যাকে নিলয় এখন মা বলে আসলে নিলয় তার ছেলে না। নিলয় ওদেরকে বাঁচিয়েছিল বলে তারপর থেকেই নিলয় ঐ মহিলাকে মা বলে ডাকে।
যখন সে ক্লাস ফাইভে পড়তো সেসময় জীবনে ওর সবকিছুই ছিল। সুখ,শান্তি, মা বাবা,পরিবার সবকিছুই। নিলয় তার বাবাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসতো। কারন ওর বাবাই ছিল নিলয়ের কাছে একজন পথ প্রদর্শক। সবসময় বাবার আদলে সে ছোট থেকেই অনেক কিছু শিখেছিল।
নিলয়ের মা ছিল প্যারালাইজড। প্রায়সই বাবা নেশা করে বাড়িতে আসলেও নিলয়ের বাবা তা ঠিক কন্ট্রোল করে চলতো। নেশা করে আসলেও তিনি কখনো মাতলামো করতেন না। একদিন ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। নিলয় বাতি জ্বালিয়ে বই পড়ছিল। নিলয় হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনতে পাই।
তাকিয়ে দেখে তার বাবা নেশা করে ঘরে ফিরেছে। নিলয় পড়ায় মনোয়োগ দেয়। কিছু সময় পর পাশের রুম থেকে চিৎকার শুনতে পাই..
- দয়া করে আমাকে ছেঁড়ে দাও নিলয়ের বাপ, তুমি তো জানোই আমার কোনো শক্তি নেই। তবুও তুমি কেনো আমার সাথে এমন করছো? (নিলয়ের মা)
- দেখ বউ, একটা পুরুষ কতদিন ধরে শরীরে ক্ষুধা না মিটিয়ে থাকতে পারে বল? আমি আজ কোনো কথা শুনবো না। কত বছর হয়ে গেল তোর সাথে আমার কিছুই হয়নাই।
- নিলয়ের বাপ তুমি কেনো বুঝতে পারছো না? আমার বসতেই কষ্ট হয়। আর তুমি এসব কি বলছো? আমাকে ছাড়ো।
- ধুর মা***** তোরে ভালোবাসি বইলা কোনো বে**** কাছে যায়না আমি। সবকিছু তোর জন্যই আর মা**** তুই আমার সাথে শুইবি না কেন?"
- ছিহ কি বলছো এসব (নিলয়ের মা)
- যা কইতাছি ঠিক কইতাছি, চাইলে তো আইজকা কোনো বে*** সাথে রাত কাটাইয়া আসতে পারতাম। কিন্তু করি নাই, কারন তোকে ভালোবাসি বউ। এহন আর কোনো কথা শুনবো না,আইজকা তোরে আমার ক্ষিধা পুরান করতেই হইবো। নে আর দেরি করোস না।
- দয়া কইরা আমাকে ছেড়ে দাও, আমার খুব কষ্ট হইবো, শরীরডা এ কদিন ভালা যাচ্ছে না। নিজেই তো পানি লইযা খাইতে পারি না।
- চুপ মা**** চল শুরু করি।
.
নিলয়ের মা কাঁদতে থাকে। একসময় নিলয়ের বাপের সাথে ঝগড়া বেধে যায়। এতে করে নিলয়ের বাবা আরো খেপে যেয়ে যখনি নিলয়ের মায়ের উপর অত্যাচার করতে যাবে ঠিক তখনি নিলয়ের মা চিৎকার দিয়ে উঠে বলে...
- ওরে নিলয়, আমারে বাঁচা রে বাপ, তোর বাপে দেখ নেশা কইরা কি সব কইতাছে।
নিলয় দৌড়ে পাশের ঘরে চলে যায়। বাবাকে আটকায় কিন্তু সেদিন নেশাতে বুদ থাকায় নিলয়ের বাবা নিলয়কে লাথি দিয়ে ফেলে নিলয়ের মায়ের উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। নিলয়ের মায়ের চিৎকার নিলয় আর সহ্য করতে পারিনি। দৌড়ে রান্না ঘর থেকে ছোট বটি নিয়ে সজোরে নিলয় তার বাবার গলাতে কোপ দিয়ে বসে। তিনি সেখানেই মারা যান। আর এসবকিছু দেখে নিলয়ের মা সেদিন রাতেই স্ট্রক করে মারা যায়। তারপর আর কি, নিলয়কে কিশোর সংশধনী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নিলয় সেখানে সবার মত করে বড় হতে পারে না।
.
ওর মত অনেক বাচ্চাও সেখানে থাকে। সবাই নিজেদের মত করে হুইহুল্লোড় করে। কিন্তু নিলয় সবসময় চুপচাপ হয়ে গাঁছের নিচে বসে থাকতো। সেই কারাগারে জেলার ছিল মি. আলতাফ উদ্দিন। কেনো যেন নিলয়কে তিনি একটু বেশিই কেয়ার নিত। একসময় তিনি নিলয়কে তার বাড়িতে নিয়ে যান। অবশ্য তার জন্য সরকারী পারমিশনও নিতে হয়েছিল। আর সেই বাড়িতেই থাকতো আলতাফ সাহেবে মেয়ে নেহা। তারপর...
(waiting for next part)
0 Comments:
Post a Comment