Home » » সাইকো দ্যা রাফিয়ান (৫ম পর্ব)

সাইকো দ্যা রাফিয়ান (৫ম পর্ব)

সাইকো দ্যা রাফিয়ান (৫ম পর্ব)
লেখক> Abir Hasan Niloy (মি. ভূত)
...
ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি হয় নিলা। প্রতিদিন ভার্সিটিতে ক্লাস করতে যেত ও। একদিন ক্লাস শেষ করে নিলা আর মিম বাসায় ফিরছিল। তখনি কয়েকজন ছেলে বাইক নিয়ে নিলাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। নিলাকে জ্বালাতে শুরু করে। তবে নিলা কোনো প্রকার উত্তর না দিয়ে হেঁটে চলে যেতে থাকে। আর মিম ছেলেগুলোর কথায় উত্তর দিতে থাকে। এভাবে কথা বলতে বলতে হুট করেই ছেলেদের মধ্যে হৃদয় নামের ছেলেটি মিমের হাত ধরে।

- এগুলো কি হচ্ছে, রাস্তাঘাটে এভাবে হাত ধরছেন কেনো? লোকজন কি বলবে? (মিম)
- কেউ কিছু বলবে না। কারো সাহস নেই আমাকে কিছু বলার। (হৃদয়)
- কিন্তু আমাদের তো কিছু বলবে? হাত ছাড়ুন, নাহলে কিন্তু ভালো হবে না। (মিম)
- নাহ ছাড়বো না। (হৃদয়)
- তোকে হাত ছাড়তে বলেছি কিন্তু।

নিলা কথাটা বলেই হৃদয়োর গালে চড় বসিয়ে দেয়। পরে সবার সামনে হৃদয় চড় খেয়ে নিলাকে শাষিয়ে চলে যায়।
.
এরপর বেশ কয়েকদিন হৃদয় আর তার ছেলেগুলো নিলাদের সামনে আসেনি। একদিন ভার্সিটিতে ক্লাস কম থাকায় তাড়াতাড়িই তারা বাড়ির দিকে ফিরছিল। সেদিন একটু বৃষ্টি হচ্ছিল বলে রাস্তায় তেমন লোকজনও ছিল না। নিলা আর মিম হেঁটে যাচ্ছিল। ঠিক তখনি হৃদয় সহ আরো ছয়জন ছেলে ওদের সামনে এসে পথ আটকে দাঁড়ায়। এবার মিমকে ছেড়ে সরাসরি নিলাকে হৃদয় বলে..

- কি সুন্দরী বলেছিলাম না, আবার দেখা হবে। আর তুমি যা দিয়েছিলে তা সুদে-আসলে ফেরত দিব আজ।
- দেখুন ভাইয়া সেদিনের জন্য আমরা দুঃখিত। (মিম)
- চুপ, ঐ সবগুলাকে তোল। উঠিয়ে নিয়ে যাবো। (হৃদয়)

তারপর কয়েকজন ছেলে এগিয়ে এসে নিলা আর মিমকে তুলে নিতে যাবে ঠিক তখনি পিছন থেকে কে যেন বলে ওঠে..

- হৃদয়, কিরে কি হচ্ছে এসব?
- দেখেন ভাই, সব ব্যাপারে জড়িয়েন না এটা নিয়ে কোন কথা বলবেন না। আর আমরা আপনাদের গ্রুপের কারো ক্ষতিও করিনি। শুধু শুধু এসব বিষয় নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে না লাগাই ভাল।
- বুঝলাম, কিন্তু হচ্ছেটা কি আর এই মেয়েদের নিয়ে এমন কেন করছিস?
- এই শালীর তেজ বেশী আমাকে চড় মেরেছিল তাই আজ তেজ কমাতে নিয়ে যাচ্ছি। (হৃদয়)
- তোর যে চরিত্র শুধু শুধু নিশ্চয়ই চড় মারেনি?মেয়েদের জীবন নিয়ে এভাবে খেলিসনা চলে যা এখান থেকে।
- সে যাইহোক আমি বুঝে নিব।আপনার এত লাগছে কেন আপনার তো কেউ না? (হৃদয়)

হৃদয়ের কথা শুনে ছেলেটা মুচকি হাসে। কিছু সময় মেয়েদুটোর দিকে তাকিয়ে হৃদয়কে বলে..

- দেখ হৃদয়, তুই হাসান ভাইয়ের লোক। একারনে ভালোভাবে বলছি ওদের ছেড়ে দিয়ে চলে যা। 
- না। কিছুতেই না। আজতো তেজ আমি কমাবই।
- ভালোভাবে বললাম শুনলি না তো? তাহলো নিলয় ভাইয়াকে ফোন দিয়ে ডাকি। আর জানিসও তো, ভাই কেমন পাগল।
- দেখুন,অর্ক ভাই। এই মেয়েদুটোকে তো আমি শিক্ষা দিবই, তারজন্য যদি আপনার ভাই কিছু বলে তবে আমরাও আমাদের হাসান ভাইকে জানাব। শুধু শুধু এই একটা মেয়ের জন্য দুই ভাইয়ের মধ্যে লাগানো কি ঠিক হবে ভাই?
.
নিলা আর মিমের পাশে দাঁড়ানো অর্ক নামের ছেলেটা হেসে দেয়। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হৃদয় জানেনা হাসান নিলয় ভাইয়ার পরিচিত। তবে নিলয় যখন পাগলামো শুরু করে সে কাউকেই মানে না। আর নিলয়কে কেউ লিড দেয় না, নিলয় নিজেই সবাইকে লিড দিয়ে রাখে। কেবল ওরা নিলয়ের থেকে বড় হয় বলে নিলয় সম্মান করে চলে। অর্ক বলে..

- তোরা তাহলে আমার কথা বুঝতেই পারিসনি।ভাই যদি জানতে পারে তোরা একে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিস তখন কি হবে তা নাহয় তোরা দেখে নিস।
- কেনো এই মেয়ে কি ভাইয়ের গার্লফেন্ড নাকি?
- কি মনে হয়, তোদের চড় মারার সাহস এই এলাকায় কারো হতে পারে?
- তা ঠিক তবে আপনি ঢপ মারছেন।
- আচ্ছা, তাহলে নিলয় ভাইয়াকে ডাকি।
- নাহ থাক অর্ক ভাই, নিলয় ভাইয়াকে ডাকার দরকার নেই। বরং সরি বলে চলে যাচ্ছি। আর দয়া করে নিলয় ভাইয়াকে কিছু বলবেন না।
- হুম। (অর্ক)
- সরি ভাবি আমি জানতাম না আপনি ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড। ভুল হয়ে গেছে দয়াকরে ভাইকে এসব বলবেন না। অর্ক ভাই আপনি বলে দেননা যেন ভাইকে কিছু না বলে। (হৃদয়)
- ভাবি, ভাইকে কিছু বলোনা কেমন? (অর্ক)
.
নিলা হাবার মত ওদের কথাগুলো শুনছিল। ঘটনার আকস্বিকতায় নিলাও মাথা নেড়ে সায় দিয়ে দেয়। অথচ নিলা জানতোই না এই নিলয়টা আবার কে। তবে ঠিকই নিলা বুঝে গিয়েছে নিলয়ের কথা শুনে ওরা সবগুলো দৌড়ো পালিয়েছে। কিন্তু নিলার মনে বারবার প্রশ্ন ঘুরতে থাকে "জীবনে প্রেম করিনি,তাহলে আমি কার গার্লফেন্ড হলাম? আর কে এই নিলয় ভাই?"

ছেলেগুলো চলে যাওয়ার পর নিলা অর্ককে প্রশ্ন করে।

- আচ্ছা আপনি এসব কি বললেন আমিতো কিছুই বুঝতে পারছিনা?
- এই ভার্সিটিতে নতুন নাকি?
- জ্বী।
- জানো, ওরা কারা আর তুমি নাকি ঐ ছেলেটাকে চড় মেরেছ? (অর্ক)
- চড় মারার মত কাজ করেছিল তাই মেরেছি।
-;এখন যে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল, বুঝো তুলে নিয়ে কি করত?
- (….)(নিলা)
- তোমাদের বাঁচানোর জন্য মিথ্যে বলতে হল আমাদের। (অর্ক)
- তাই বলে এসব মিথ্যে? কোন ভাইয়ের কথা বলছিলেন আর যদি বলারই ছিল বোন বানাতে পারলেন না এসব বললেন কেন?
- ওরা ভাইয়াকে খুব ভালো করেই জানে। ভাইয়ার কটা বোন কখন কি করে সব জানে ওরা।
- কিন্তু আপনি কত বড় একটা কথা বলেছেন বুঝতে পারছেন?
- বাদ দাও। তোমরা সাবধানে থেকো। আর পারলে হাতটা কম চালিও। তবে এখন এই ভার্সিটি বা শহরে তোমার আর সমস্যা হওয়ার কথা না। তবুও যদি সমস্যা হয় তবে নিলয় ভাইয়ের কথা বলো সমস্যা হবেনা।
- আপনাদের অনেক ধন্যবাদ অর্ক ভাইয়া।এখন আমরা আসি। (মিম)
.
এরপর আর ওদের কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু মিম আর নিলা নিলয়ের নাম নিয়ে অনেক মজা করেছে। কোনো ছেলে ওদের সাথে এসে ফালতু প্যাচাল করলেই সাথে সাথে মিম বলে ওঠতো "চিনেন নিলাকে? ও কিন্তু নিলয়ের গার্লফেন্ড।" আর তখনি কোনো ছেলে ওদের থেকে দৌড়ে চলে যেত। আর এ বিষয়টাই নিলা অনেক বেশি ইনজয় করতো। এমনো অনেক দিন গেছে, ভার্সিটিতে অপরিচিত অনেকেই এসে নিলাকে সালাম দিয়ে ভাবি বলে চলে গেছে। নিলা কেবল বোকার মত তাকিয়ে তাকিয়ে তা দেখেছে। কিন্তু নিলা বা মিম কেউ কোনোদিন নিলয়কে দেখোনি। 
.
একদিন ভার্সিটি থেকে বের হতেই একটা ছেলে ওদের সামনে এসে দাড়িয়ে বলে..

- তোমাদের নাম কি?
- আমি মিম আর ওই নিলা।আপনি কে বলুনতো আর এতকথা কেন জিজ্ঞেস করছেন? (মিম)
- না মানে নিলা..
- ভুলেও ও নাম মুখে আনবেন না।আপনি মনে হয় নিলাকে চিনেন না। (মিম)
- আসলেই আমি চিনতাম না তবে এখন চিনলাম। আসলে আমি নিলাকে কিছু কথা বলতে চাই।
- ভাইয়া ওখানেই চেপে যান নয়ত খুব খারাপ হয়ে যাবে। (মিম)
- কি হবে? (লোকটা)
- আপনিতো দেখি কিছুই জানেন না। নিলা কে জানেন? নিলা নিলয় ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড।
- হি হি হি। তাই নাকি? জানতাম নাতো। (লোকটা)
- হাসার কি হল, আর এখনতো জেনে গেলেন এবার নিজের রাস্তা মাপেন নয়ত ভাইয়া জানলে আপনার খবর আছে। কিরে নিলা তুই চুপ করে আছিস কেন কিছু বল? (মিম)
- দেখুন কিছু বলার থাকলে বলেন, না হলে কেটে পড়েন। যদি নিলয় জানতে পারে আপনি আমার সাথে কথা বলছেন তবে সমস্যা আছে। (নিলা)
- তুমি কি আসলেই নিলয়ের গার্লফ্রেন্ড? (লোকটা)
.
নিলা কিছু বলে না। এর আগে কোনোদিন সে স্বীকার করেনি, সে নিলয়ের গার্লফ্রেন্ড। সবকিছু মিম বলতো। আর নিলা পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখতো। কিন্তু আজ সরাসরি লোকটাকে নিলা বলল..
- হুম। কেনো কোন সন্দেহ আছে? থাকলে অর্ক ভাই আর নিলয়কে জিজ্ঞেস করে নিবেন।
- আমি তোমাকেই খুজছিলাম আসলে আমি গ্রাম থেকে এসেছি। আমার কিছু ঝামেলা হয়ছে তাই নিলয়কে খুজছিলাম। পরে একজন বলল তুমি ওর গার্লফ্রেন্ড তোমাকে বললে নাকি দ্রুত কাজ হবে। আমাকে নিলয়ের সাথে দেখা করিয়ে দেওনা।
- আমি পারবনা আপনি যে কাউকে নিলয়ের কথা বললেই আপনার দেখা করার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
- অন্য সবাই আর তুমি কি এক? তুমিতো ওর আপনজন তোমার কথার মূল্যই অন্যরকম ওর কাছে। (লোকটা)

লোকটার সাথে অনেক কথা হল নিলার। লোকটা কিছুই নিলাকে ছাড়ছে না। নিলয়ের সাথে সে দেখা করেই ছাড়বে। কিন্তু সমস্যা হল ওরাই তো নিলয়কে কোনোদিন দেখেনি। চিনেও না নিলয় আসলে কে। তাই তারা লোকটা বোঝাতে পারছে না। হঠাৎ করে মিম বলে উঠল।

- আচ্ছা ঠিক আছে কাল এইসময় এখানে থাকবেন আপনার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
.
নিলা মিমের দিকে অবাক হয়ে তাকায়। কারন মিমও তো নিলয়কে চেনে না। তাহলে এখন কিভাবে কাল নিলয়কে দেখা করাবে লোকটার সাথে। লোকটা চলে যায়। নিলা আর মিম রিকশাতে করে বাড়ির দিকে আসতে থাকে। রিকশায় বসে নিলা মিমকে প্রশ্ন করে..

- তুই তো নিলয়কে চিনিস না, তাহলে কাল দেখা করাকি কি করে?
- চিন্তা করিস না, মনে আছে তুই অসুস্থতার কারনে কয়েকদিন ভার্সিটিতে আসিস নাই। তখন অর্কের সাথে কথা হয়েছিল। নাম্বারটা নিয়ে রেখেছিলাম। 
- তুই পারিসও বটে। আচ্ছা বাসায় চল। এখন একটু চিন্তা মুক্ত হওয়া গেল।
.
পরেরদিন ভার্সিটি থেকে বের হতেই আবারো লোকটার সাথে দেখা ওদের। সরাসরি নিলার কাছে এসে বলতে থাকে "নিলয় কোথায়?" নিলা শুকনো দৃষ্টিতে মিমের দিকে তাকিাতেই আস্তে করে মিম বলে "চিন্তা করিস না, অর্ককে ফোন দিয়েছিলাম, ও সব ব্যবস্থা করে রেখেছে।" কিন্তু কিছুক্ষন যাওয়ার পরও নিলয়ের দেখা পাচ্ছে না কেউ। তখনি অর্ককে মিম কল দেয়। অর্ক পাঁচ মিনিটেই ওদের সামনে এসে দাঁড়ায়।

- আরে মিম, তুমি আমাকে কেন আসতে বললে আর ভাইয়া তো এখানেই আছে।
- কোথায় আপনার ভাইয়া? (মিম)
-কেন এই যে। দেখছো না তোমাদের সামনেই তো দাঁড়িয়ে আছে। এতক্ষন ধরে তো কথা বলছিলে দেখলাম।

অর্ক কথাটা বলেই সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটাকে দেখাল। নিলা আর মিম, দুজনেই "কিহ" বলে ওঠে। লোকটা আসলে নিলয়, সে কাল নিজেই এসে ওদের সাথে কথা বলেছে। আর নিলা নিজেও স্বীকার করে নিয়েছিল নিলয় তার বয়ফ্রেন্ড। ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে নিলয় মুচকি হাসছিল। অর্কের পাশে থাকা মাসুম বলে..

- কি ব্যাপার ভাইয়া, আপনি হাসছেন কেন কিছুই তো বুঝলাম না?
- তোর বুঝার দরকার নেই। তোরা এখন যা আমি পরে সব বলব। 
- আচ্ছা। আর ভাইয়া কোন লোক যেন আপনার সাথে দেখা করতে চাইছিল তারসাথে একটু কথা বলে নিয়েন। মিম কাল রাতে ফোন করে বলেছিল (অর্ক)
- হিহিহি.. আচ্ছা বলবো।
.
নিলয় একটা সিগারেট জ্বালায়। এতদিন লোকটাকে তারা খেয়াল করেনি ভালো করে। আজ প্রথম দেখছে। সাদা শার্ট, ডিপ কালো প্যান্ট। সাথে সাদা কনভার্স জুতো। চোখের ভ্রুতে আংটি লাগানো। চুলগুলো প্যান্টের মতই ডিপ কালো তবে এলোমেলো। চেহারাদে যথেষ্ট ভদ্রতার ছাপ। কিন্তু স্বভাবে সে মাস্তান। ওদের দিকে তাকিয়ে নিলয় কিছু বলতে যাবে তখনি নিলা বলে ওঠে...

- সরি, দেখুন প্রথমে কিন্তু এই কাহিনী অর্ক ভাই শুরু করেছে আর পরে যখন কাজে লেগেছে তখন আমরা ব্যবহার করেছি। আর কখনো এসব বলবো না। সরি
- অর্ক আমাকে সব বলেছিল। কিন্তু সেদিনের পর থেকে তোমরা একই কাহিনীর ব্যবহার করছ দেখে অনেকেই আমাকে এসে তোমার ব্যাপারে বলেছে। ভাবি নাকি অনেক সুন্দর, এমন ভাবি পাওয়া যাবে না, ইত্যাদি। তাই আমি তোমাদের দেখতে এসেছিলাম। ভাগ্যিস এসেছিলাম।
- দেখুন আমরা দুঃখিত আর হবেনা। (নিলা)
.
এরপর থেকেই নিলয় নামের সাইকো ছেলেটা প্রতিনিয়ত নিলাকে জ্বালাতে থাকে। পুরো শহরের সবাই তখন নিলাকে ভাবি ডাকা শুরু করেছে। সবজায়গাতে নিলয়ের লোক, তাই নিলা বাসা থেকে বের হলেই কেউ না কেউ নিলাকে ভাবি বলে ডাক দেবে। এ ব্যাপারে নিলা কিছুই বলতে পারতো না কারন নিলা তখন জেনে গিয়েছিল নিলয় শহরের টপ মাস্তান। খুন করা তার নেশা। ওর উপরে কেউ কোনো কথা বলে না। পিছনে ওকে মারার জন্য অনেকেই ঘুরলেও নিলয় কাউকে কেয়ার করে না। আর কেউ ওর সাথে শত্রুতাও করে না। কারন নিলা জেনে গিয়েছে নিলয় তার কোনো শত্রুকে কখনো বাঁচিয়ে রাখে না। তাই নিলা কারো কাছে যাবে সে উপাও নেই।
.
ঘপনাগুলো এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, কোনো ছেলে যদি নিলার সাথে একটু কথা বলেছে তখনি নিলয় এসে ছেলেটাকে বেধড়ক ভাকে পিটিয়ে গেছে। যা নিলা সহ্য করতে না পারলেও কিছু করার ছিল না। অনেকবার নিলা নিলয়কে বুঝিয়েছে নিলার পছন্দ না নিলয়কে। কিন্তু নিলয় তাকে ভালোবাসে আর তাকেই পেতে চাই।।
.
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে নিলাকে বাসা থেকে বিয়ে দিতে চেয়েছে কিন্তু নিলয় সে বিয়ে আটকে দিয়ে ছেলে পক্ষকে খুব বাজে ভাবে মেরেছে। এরপর আর কোনো ছেলের পরিবার নিলাকে দেখতে বা বিয়েরর কথা বলতে আসিনি। এরপরই মাহফুজ সাহেবের ছেলে মেহেদি ভার্সিটিতে ভর্তি হয়। টুকটাক কথা হতো মেহেদির সাথে নিলার। যা নিলয় জানলেও তখন কিছু বলতো না। 

ধিরে ধিরে মেহেদিও সবকিছুু জানে নিলার ব্যাপারে। তাই নিলাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করে। নিলাও রাজি হয়ে যায়। নিলয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য। এ কারনেই নিজ বাড়ি ছেড়ে আত্বীয়দের বাড়িতে নিলাকে বিয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। যেন নিলয় বিয়ের কথা জানতে না পারে। কিন্তু নিলয় তা জেনে যায়। আর তারপরই নিলা ও মেহেদিকে তুলে নিয়ে আসে।

(waiting for next part)

0 Comments:

Post a Comment

GENRES

Subscribe Us

Facebook

 
Created By SoraTemplates | Distributed By Gooyaabi Themes