সাইকো দ্যা রাফিয়ান (২য় পর্ব)
লেখক> Abir Hasan Niloy (মি. ভূত)
...
নিলয়ের দিকে নিলা রাগি দৃষ্টিতে তাকায়। নিলয় চেয়ার টেনে নিলার সামনে বসে মুচকি হাসতে থাকে। নিলা নিজেকে সামলে নিয়ে প্রায় চিৎকার করে বলে..
- আপনি আমাকে কিস করলেন কেনো? আপনার কোনো অধিকারই নেই আমাকে ছোঁয়ার। এটাই কি আপনার ভালোবাসার প্রমান?
.
নিলয় কিছুক্ষন মুচকি হেসে আবারো বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। পাগলা টাইপ একটা লুক দিয়ে নিলার দিকে চেয়ে থাকে। নিলা অঝোরে কাঁদতে ব্যস্ত। নিলয় কাছে যেয়ে নিলার বাধন খুলে দেয়। আলতো করে নিলার হাত ধরে ও। নিলা ঝটকা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নেয়। নিলয় আবারো কান্না করতে থাকে। কান্না করতে করতে নিলয় বলে..
- তুমি বিশ্বাস কর নিলা, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তাই তোমার কাছে যখন গিয়েছি আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারিনি। তোমার ঐ আকর্ষনীয় ঠোঁটে কখন যে হারিয়ে গিয়েছিলাম বুঝতে পারিনি।
- বিশ্বাস? কিসের বিশ্বাস? যে অন্যকে মারতে থামে না। কোনো মেয়ের গায়ে হাত দিতেও ছাড়ে না। কোনো অধিকার ছাড়াই যে এমন কিছু করতে পারে তাকে কিকরে বিশ্বাস করবো? আপনি তো আমার সাথে জোর করে অনেক কিছুই করতে পারেন। (নিলা)
নিলা কাঁদছে। নিলয় ওর দিকে এগিয়ে যায়। চোখের পানিগুলো মুছে দিতে নিলয় নিলার গালে হাত দিতেই নিলা এক টানে হাত সরিয়ে দেয়। তারপর নিজেকে আর নিয়ন্ত্রন না করতে পেরে নিলয়ের গালে অনেকগুলো চড় বসিয়ে দেয়। একটা,দুইটা,তিনটা,চারটা, পর পর আরো কয়েকট চড় নিলা নিলয়ের গালে বসিয়ে দিল। নিলয় নিলাকে আটকাতে পারতো,কিন্তু সে নিলাকে থামায়নি। বরং শান্ত ছেলের মত নিলার দেওয়ে চড়গুলো সে উপভোগ করেছে।
.
চড় দেওয়া শেষে নিলা ক্লান্ত হয়ে থেমে যায়। নিলয় উচ্চস্বরে হেঁসে ওঠে। নিলা নিলয়ের হাসি দেখে অবাক হয়। এমন পাগল ছেলে সে কোনোদিন দেখেনি। নিলা বলে..
- আমি আপনাকে ভালোবাসি না। কারনটাও আপনি জানেন। আপনি এই শহরের একটা মাস্তান। তাও আপনি একটা সাইকো। মানুষকে মারতে আপনার হাত কাপে না। আমার জীবনটা কেন নষ্ট করছেন?
- আমি তোমাকে ভালবাসি নিলা, নিজের থেকেও বেশি। কিন্তু আমি এক স্বার্থপর প্রেমিক। তাইতো তোমাকে নিজের করে পাবার জন্যে এতকিছু করেছি। কি করব বল? সবাইতো এক না। সবাই চাই তার কাছের মানুষটাকে সুখি দেখতে তা সে অনৈর কাছে গেলেও। আর আমি চাই তোমাকে কেবল আমার করে নিতে, তা সে তুমি না মেনে নিলেও। আমি স্বার্থহীন হতে পারিনা। আর না তোমাকে অন্য কারো হতে দেখতে পারি। তাইতো তোমাকে নিজের করার জন্য এসব করেছি।দয়াকরে একবার আমাকে বুঝার চেষ্টা কর,ঘৃণা নয় ভালবাসার চেষ্টা কর তবেই বুঝতে পারবে তুমি আমাকে যতটা খারাপ ভাবো আমি ততটাও খারাপনা।
- আমি কখনই আপনাকে ভালবাসতে পারবনা।
.
নিলয় চেয়ারে গিয়ে বসে সিগারেট জ্বালায়। চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে "মাসুম, ওকে নিয়ে আয়।" মাসুম সাথে সাথে মেহেদিকে নিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। নিলা মেহেদির দিকে হা হয়ে তাকায়। নিলয়ের থেকে কম স্মার্ট না ও। সব দিক দিয়ে মেহেদী পারফেক্ট। শহরের নামি ব্যবসা প্রতিষ্টান ওদের। বাবাও এবার শহরের মেওর হতে যাচ্ছে। তবুও নিলয় এত বড় সাহস করে মেহেদিকে তুলে নিয়ে এসেছে ভাবতেই নিলা অবাক হচ্ছে।
.
মেহেদিকে নিলয়ের সামনে রেখে মাসুম চলে যায়। মেহেদি হাটু মুড়ে বসে নিলার দিকে একবার তাকিয়ে নিলয়কে বলে...
- আমাকে ছেড়ে দাও, না হলে তোমার খুব খারাপ হবে। আর নিলাকেও আমার সাথে যেতে দাও। আজ আমাদের বিয়ে। নিলাকে প্রথম দেখেই ভালোবেসেছি। ভাবছো আমি সাধারন একজন ব্যবসাদার। ভুল নিলয়, তোমার মত ছেলেকে আমি দশ মিনিটেই শেষ করতে পারি।
.
নিলয় উচ্চস্বরে আবারো হেসে ওঠে। বসা থেকে উঠে সারাঘর পাগলের মত ছুটোছুটি করে আর হাসতে থাকে। একেকবার নিজের গালে চড় মেরে নিজেই হেসে দিয়ে মেহেদির দিকে আগায় আবার দৌড়ে এদিক সেদিক ঘুরতে থাকে। নিলা আর মেহেদি এই পাগলের পাগলামি দেখে ভয় পেয়ে চেয়ে আছে। নিলয় হাসতে হাসতে বলে...
- তোকে এমনিতেই মেরে দিতাম, কিন্তু তোর এই কথাগুলোর জন্যই ছেড়ে দিচ্ছি। যাহ চলে যা। দেখি তুই কেমন প্রিন্স, তোর রাজকুমারীকে কিভাবে আমার ক্যাসল থেকে মুক্ত করতে পারিস। যা, মাসুম ওকে নিয়ে যা আমার সামনে থেকে। সোজা বাসায় দিয়ে আসবি।
.
মাসুম এসে মেহেদিকে নিয়ে চলে যায়। নিলা অবাক হয়েই এসব দেখছে। নিলা নিলয়কে আর এক মুহুর্ত সহ্য করতে পারছে না। নিলয় তাকে ভালোবাসলেও নিলা তাকে মোটেও ভালোবাসে না। আর নিলয় তা শুনবে না। সে নিলাকে তার করেই ছাড়বে।
- নিলা একটু পর তোমার জন্য খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি, খেয়ে ঘুমিয়ে নিও। কাল সকালেই তোমাকে তোমাদের বাড়িতে পৌছে দেবো।
- আমি খাবো না।
- নিলা মাথাটা গরম করিও না। আমি কিন্তু তোমার মা বাবাকেও তুলে এনে মেরে ফেলতে পারি, আশা করি তুমি সেটা চাওনা।
.
নিলয় নিলার সব বাধন মুক্ত করে দিয়ে চলে গেল। নিলা বিছানায় এসে বসে। নিলার প্রচন্ড রকম রাগ হতে শুরু করেছে। সবচাইতে সে নিলয়কে ঘৃনা করে। নিলয় যে তাকে ভালোবাসে সে এটা বিশ্বাস করে না। নিলা কিছু সময় পর দরজা দিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেখে। দশ কি বারো বছরের একটা মেয়ে হাতে খাবারের প্লেট নিয়ে প্রবেশ করে। নিলার দিকে তাকিয়ে মেয়েটি বলে...
- ভাবি, আমি রিমা। নিলয় ভাইয়া তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসতে বলল।
- ভাবি? কে তোমার ভাবি?
- কেন তুমি নিলয় ভাইয়ের বউ তো। তাহলে তো আমার ভাবিই হও।
- এই মেয়ে শোনো, আমি তোমার কোন কালেরই ভাবিনা। তাই দয়া করে আমাকে এসব ভাবি টাবি ডাকতে আসবে না। আর তোমার ভাইয়ের সাথে এখনও আমার বিয়েটা হয়নি আর না কখনও হবে তাই এসব বাদ দাও।
- হয়নি তো হবে। ভাইয়া তোমাকে ভালোবাসে মানে তুমি ভাইয়ার বউ, তোমাকে ভাইয়ার থেতে কেউ কাড়তে পারবে না।
- যখন হবে তখন দেখা যাবে। তুমি যাও আমার সামনে থেকে।
- নাহ,আগে খেয়ে নিতে হবে।
.
নিলা আর কিছু বলে না। সে চুপচাপ রাগটাকে দমিয়ে রেখে খেয়ে নেয়। তাছাড়া তার কিছু করারও নেই। রিমা চলে যায়। নিলা অনেক্ষন পায়চারি করে একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
রিমা চলে গেল।আমি না খেয়েই শুয়ে পড়েছি।ঘুম আসছেনা।হঠাৎ দেখি একটা ল্যাপটপ।আমি উঠেই তাড়াতাড়ি আমার এফবি আইডিতে ঢুকলাম আর মিতুকে একটা মেসেজ করলাম।
.
সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর মাসুম এসে নিলাকে তার বাড়িতে রেখে আসে। নিলাকে দেখে তার মা জড়িয়ে ধরে। নিলাও তার মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। নিলার মা বলে..
- তুই ঠিক আছিসতো মা? তোর কোন ক্ষতি হয়নিতো?
- আমি ঠিক আছি মা। সে শুধু আমার বিয়েটা ভাঙ্গার জন্য এসব করেছে। আমার ক্ষতি সে করেনি।
- যাক বাঁচলাম। এ দিকে মেহেদিও নিখোজ। কে জানে সে কোথায় আছে।
- মেহেদিও এখন বাড়িতে, নিলয় আমাকে আর মেহেদিকে একসাথে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।
- কি বলিস এসব? আচ্ছা বাদ দে তুই ঠিক আছিস এটাই তো অনেক বড় ব্যাপার। যা ফ্রেশ হয়ে নে খাবার দিচ্ছি।
.
নিলয় বাড়ি থেকে বের হয়। সাথে সাথেই কয়েক গাড়ি পুলিশ নিলয়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। নিলয়ের পিছনে অর্ক, মাসুম, আশরাফ আর সিয়াম এসে দাঁড়ায়। নিলয় একবার ঘাড়ের ব্যায়াম করে নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ অফিসারদের দিকে তাকায়। অর্ক, মাসুম, সিয়াম, আশরাফ সবাই জানে নিলয়ের যখন সাইকো ভুত মাথায় চাপে তখনি সে এমন করে। পাগলামো শুরু করার আগে নিলয় একদম চুপ থাকে। তাই পাশ থেকে অর্ক বলে..
- কি ব্যাপার স্যার, আপনারা?
- দেখো অর্ক, তোমাদের জন্য এমনি প্রশান থেকে খুব চাপ, তার উপর মেয়রের ছেলেকে তুলে এনে ভালো করোনি। করেছো ঠিক আছে কিন্তু যেভাবে পিটিয়েছ তাতে করে বেচারি বাঁচবে কিনা সন্দেহ। (পুলিশ অফিসার)
- ওকে মেরে ফেলিনি এটাই তো বড় কিছু। (নিলয়)
- তোমাদের সবাইকেই থানাতে যেতে হবে। (পুলিশ অফিসার তারিন)
- কেনো? (মাসুম)
- আহ.. ওরা নয়, আমি যাবো চলুন। (নিলয়)
নিলয় পুলিশের গাড়িতে করে থানার দিকে যায়। নিলয়ের লোকেরা সবাই খুব ভালো করেই জানে যে নিলয় ত্রিশ মিনিটের মধ্যেই চলে আসবে। তবে তাদেরও কাজ আছে খুব।
.
নিলা ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিল। ঠিক তখনি মিম, শিলা, তন্নি হুড়মুড় করে ওর ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। সবাই নিলার ক্লোজ বান্ধবি। নিলাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ওরাও সেখানে ছিল। তাই যখন নিলার মা ওদের সবাইকে নিলার ফিরে আসার খবরটা দেয় তখনি এরা চলে আসে।
- কি রে তোরা এখন?
নিলার কথার কোনো জবাব ওরা দেয় না। নিলার খুব কাছের বান্ধবি মিমের দিকেও তাকায় নিলা। সবার চোখে মুখে একপ্রকার অবাকতা লেগে আছে। নিলা কিছু বলতে যাবে তখনি মিম বলে...
- তুই নিলয় ভাইয়াকে ভালোবাসিস আগে আমাদের কেনো বলিস নাই?
- মানে? (নিলা)
- কিসের মানে? আমাদের সামনে খুব তো নিলয়কে ঘৃনা দেখাতি। তাহলে এখন তলে তলে এতকিছু। (তন্নি)
- দেখ তোদের কথা একবারো বুঝতে পারছি না। কি হয়েছে বল।
- কি হয়েছে সেটা তো তুই আমাদের বলবি। নিজেই ওনার পোষ্টে ভালোবাসি লিখে কমেন্ট করেছিস আমরা কি দেখিনি? (শিলা)
- ঐ তোরা সামনে থেকে যা, কি বলছিস তোদের কথার কোনো কিছুই আমার মাথায় ঢুকছে না।
- ওহ তাই,দাঁড়া।
.
মিম ফোন বের করে। ফেসবুকে লগিং করে একটা পোষ্ট বের করে নিলার সামনে ফোন ধরে। নিলা পোষ্টা পড়তে থাকে। "অবশেষে নিলা আমার বউ হয়ে গেল। সে আমাকে এত ভালোবাসতো জানতামই না।।" তারপরই ইন এ রিলেশনশীপ ' স্ট্যাটাস। আর কমেন্টে নিলা রহমান আইডি থেকে লেখা "ভালোবাসি নিলয় তোমাকে।"
এসব দেখে নিলাও অবাক হয়। কারন নিলয়কে নিলা কখনই ভালোবাসেনি আর বাসবেও কিনা সন্দেহ। তবুও এরাকম একটা কিছু দেখে নিলার চোখ যে ছানা বড়া, বান্ধবিরা ঠিকই বুঝে গিয়েছে।
.
নিলয় থানাতে একটি চেয়ারে বসে আছে। অফিসার তারিন আহমেদ এর আগে নিলয়কে পাঁচবার লক আপে প্রবেশ করিয়েছে। প্রবেশ করানোর ঠিক দশ মিনিট পরপরই ফোন আসে আর তাকে ছেড়ে দিতে হয়। আর অবাক করা বিষয় ঘটে তারিনের কাছে তা হল, বড় বড় অফিসারেরই নিলয়কে ধরার জন্য চাপ দেয় আর তারাি তখন নিলয়কে ছাড়ানোর জন্য ফোনে অর্ডার করে।
এ জন্যই নিলয়কে আর ভিতরে প্রবেশ করাচ্ছে না। তারিন একবার কৌতুহলি হয়ে সিনিওর দের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিল, 'কেন তাকে ছেড়ে দিতে আপনারাই অর্ডার করেন?' সিনিওর অফিসার রা বলে "যারা কেইস করেছিল তারাই কেইস তুলে নিতে বলে। তাই আমরাও তো নিরাপরাধ কাউকে জেলে রাখতে পারি না।"
.
তারিন মনে মনে এসব ভাবছেই। মাঝে মাঝে নিলয়ের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখছে। নিলয়ের সাথে সে কোনো কথা বলেনি। কারন পাগলদের সাথে কথা বললে কখন যে রেগে কি অঘটন করে ফেলবে কে জানে। নিলয় বসে বসে একের পর এক সিগারেট টেনেই চলেছে। থানার মধ্যে সিগারেটের বিদঘৃটে গন্ধ চারপাশ কেমন অসহ্য করে তুলেছে।
তারিন নিলয়ের দিকে তাকিয়ে অনেক কিছুই ভাবছে। ঠিক তখনি কয়েকজন লোক থানার মধ্যে প্রবেশ করে। তারিন সে দিকে তাকিয়েই থতমত খেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়। কারন যিনি প্রবেশ করেছে তিনি এই শহরের মেয়র মি. মাহফুজ চৌধুরি। আর তার পিছনে অনেক নেতা আর সিনিওর পুলিশেরাও।
- স্যার আপনি এখানে?
- সে কোথায়? (মাহফুজ চৌধুরি)
- ঐ যে.. (তারিন)
মাহফুজ চৌধুরি ঘুরে তাকায় পাশের দিকে। দেখে একটা ছেলে চোখ বন্ধ করে সিগারেট টেনে যাচ্ছে। গায়ে সাদা গেন্জি, গেন্জির সামনে ভুতের ছবি অংকন করা। কপালে রুমাল বাধা। চোখের ভ্রতে রিং পরা। খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি স্টাইলে কাটা। পরনে থ্রি কোয়াটার প্যান্ট আর সাদা কেডস। মাহফুজ রহমান জোরে হেটে বসে থাকা নিলয়ের গেন্জির কলারটা ধরে। নিলয় চোখ বন্ধ থাকায় খানিকটা থতমত হয়ে যায়। চোখ খুলে তাকাতেই দেখে মাহফুজ তার গেন্জি ধরে টানছে আর বলছে...
- শালা, কুত্তার বাচ্চা, শু******.. বে**** বাচ্চা তোকে এখানেই মেরে রেখে দেবো। কি ভাবিস তুই নিজেকে, কি মনে করিস হা তুই? আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গেলি,তাকে পেটালি, ভাবছিস বেঁচে যাবি। তোকে তো আমি থানাতেই মেরে রেখে দেবো। কুত্তার বাচ্চা।
.
নিলয়ের গাল থেকে সিগারেট অনেকটা সময় হল পড়ে গিয়েছে। নিলয় মাহফুজ সাহেবের হাত ধরে আস্তে করে গেন্জিটা ছাড়িয়ে নেয়। তারপর এক হাত পিছিয়ে যেয়ে, থ্রি কোয়াটার প্যান্ট থেকে সিগারেট বের করে লাইটার দিয়ে জ্বালায়। সিগারেট এ এক টান দিয়ে ঘাড়টা বাঁকা করে ফুটিয়ে নেয়। মাজফুজ সাহেবের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে...
(waiting for next part)
0 Comments:
Post a Comment