X-গার্লফ্রেন্ড_অফিসের_বস
❣️❣️
পর্ব :- ৪
writer 📝 :- Mohammad Alauddin Sheikh (গল্প লেখক)
::
::
আমি এখন রোদেলা জন্য লাল চুরি নিয়ে অপেক্ষা করছি,
কখন যে আসবে আমার বোনটা 🙂
::
মনে হয় এসেছে,,কারণ আমার রুমের বাইরে মার গলার শব্দ পেলাম,,,
:-তুই এঁসেছিস? (মা রোদেলাকে বললো)
:-হুমম,,কেনো? (রোদেলা)
:-তোর জন্য তোর ভাইয়া সেই কখন থেকে অপেক্ষা করতেছে? (মা)
:-ভাইয়া অপেক্ষা করতেছে? (অবাক হয়ে)
:-হুম (মা)
:-কিন্তু কেনো? আর ভাইয়া কোথায়? (রোদেলা)
:-ওর রুমে আছে,,,যা তুই গেলেই বুঝবি? (মা)
(রোদেলা আর কিছু বলে,,,বইগুলো ওখানেই রেখে,,
দ্রুত আমার কাছে আসলো,,
:-ভাইয়া,,,তুমি মনে আমার জন্য অপেক্ষা করতেছো? (রোদেলা আমার রুমে এসে বললো)
:-হুমম,,করতেছি তো? কিন্তু আমার বোনের তো কোন খবর নেই?
(আমি মুচকি হেঁসে)
:-কিন্তু কেনো ভাইয়া,,কিছু বলবে? (রোদেলা)
:-বলবো,না,,তবে তোর জন্য surprise আছে? (আমি)
:-কিহ্হ্হ্ সারপ্রাইজ 😍 (বোন আমার খুঁশি হয়ে বললো)
:-হুমম,, সারপ্রাইজ 🙂 (আমি)
:-কি সারপ্রাইজ বলো আমাকে?
:-বলবো তবে,,,তার আগে তোকে চোখ বন্ধ করতে হবে? (আমি)
:-ওকে,,এই যে করলাম এখন বলো? (তর সইছে না বলে,,বোন আমার দ্রুত চোখ বন্ধ করে ফেললো)
:-আমি যতক্ষণ না বলবো,,চোখ খুলবি না...(আমি এই বলে চুরিগুলো আস্তে করে হাতে নিলাম)
:-আচ্ছা,,তুমি তাঁড়াতাড়ি করো ভাইয়া? (রোদেলা)
(আমি চুরিগুলো রোদেলার মুখের সামনে এনে,,
চুরির ঝুমুরঝুমুর শব্দ করতে লাগলাম,,
চুরি শব্দ শুনে তখনি রোদেলা তার চোখ খুলে ফেললো,,
আর চুরিগুলো দেখে বোন আমার,,,
:-ওওমা লাল চুরিরর....😳😳 (খুঁশিতে অবাক হয়ে বোন বললো)
:-হুমম,,,,তোর জন্য? 🙂
:-কি সুন্দর চুরি গুলো ☺️☺️...(বোন চুরিগুলো ওর হাতে নিয়ে বললো)
:-হুমম,,,🙂
:-লাভ হউ ভাইয়া,, 🥰 (এই বলে আমাকে জড়িয়ে বললো)
:-পাগলি,,,নে চুরিগুলো পড় এখন? দেখি কেমন লাগে আমার বোনকে? 🙂
(তারপর রোদেলা চুরিগুলো পড়লো,,
:-ভাইয়া কেমন লাগছে আমাকে? 🥰 (রোদেলা)
:-খুব সুন্দর মানিয়েছে তোর হাতে? 🙂
:-দেখতে হবে না,,হাতটা কার বোনের / 😍 (রোদেলা)
:-তাই না,,দুষ্টুমি অনেক হইছে,,,শোন,,তোর সব বেতন পরিশোধ করে দিসি? 🙂
:-সত্যি বলছো ভাইয়া? (কিছুটা অবাক হয়ে রোদেলা)
:-হুমমম রে পাগলি,,সত্যি বলছি/ শোন তোকে কিন্তু ভালো রেজাল্ট করতে হবে? (অবশ্য বোন আমার সর্বদা ভালো রেজাল্ট করে)
:-হুমম,,ভাইয়া!! অবশ্যই ভালো রেজাল্ট করবো? (রোদেলা)
:-যাও,,এখন ফ্রেস হয়ে নেও? দুজনে একসাথে খাবার খাবো? (আমি)
:-তুমি,,এখনো খাও নি? (রোদেলা)
:-নাহ্হ্,,আমার লক্ষি বোনের জন্য অপেক্ষা করতে ছিলাম 🙂 (আমি)
:-এই জন্য তোমাকে এতো ভালোবাসি,,,আচ্ছা ভাইয়া তুমি আমাকে ৫মিনিট দেও আমি ১০ মিনিটে আসতেছি? 😂
(এই বলে বোন চলে গেলো)
(বোন দেখি আমার চরম দুষ্টু হয়ে গিছে)
::
::
তারপর খাবার খাওয়ার পর,,ফোনের সিমগুলো যত্ন সহকারে মানিব্যাগের ভিতরে রেখে দিলাম,,,
কারণ ফোন তো নেই,,,🙂
::
::
এদিকে ফারিয়া বাসায় এসে,,,,
না খেঁয়ে তার রুমে চলে গেলো,,,
তার বাবা তাঁকে আজ বকেছে,,এর জন্য ফারিয়া রেগে আছে!!
তার বাবার প্রতি কোন রাগ নেই,,রাগ শুধু আমার উপর,,
কারণ বোকা খেঁয়েছে আমার জন্য!!
ফারিয়া শুধু ভাবছে,,,কিভাবে আমার সাথে প্রতিশোধ নিবে?
::
::
(এখন পাঠকরা,,পাঠিকেরা ভাবতেছেন,,ফারিয়ার এতো রাগ কেনো?
আমি আপনাদের বলি,,ফারিয়ার রাগার যথেষ্ট কারণ আছে,,কারণ ওর সাথে আমি যা করেছি,,তা ওর দিক থেকে রাগাটা সম্পূর্ণ যুক্তিগত,,,
তবে আমার দিক থেকে আমি যা করেছি সেটিও আমার দিক থেকে যু্ক্তিগত,,,
এখন পূর্বে আমার মধ্যে কি হয়েছিলো,,তা আপনারা সময় মতো জানতে পারবেন।
চলেন গল্পে ফিরি,)
::
::
::
পরের দিন সকাল সকাল আমি অফিসে রওনা দিলাম,,
কারণ দেরি হলে আর হয়তো চাকরি থাকবে না!!
তাই দ্রুত অফিসে গেলাম!!
অফিসে যাওয়ার পর দেখি,,,।
সকলে মিলে আড্ডা দিচ্ছে,,,তাদের মধ্যে সুজাতাও রয়েছে?
কিন্তু সকলে কাজ বাদ দিয়ে আড্ডা দিচ্ছে কেনো বুঝছি না!!
যাই হোক,,আমি তাঁদের সামনে গেলাম,,,
:-এই তো এসে গেছে মিস্টার আলাউদ্দিন? (আমাকে দেখে সুজাতা বললো)
:-হায়,,সকলে কেমন আছো? (আমি)
:-এই তো ভালো,, তুমি? (সকলে)
:-আমিও ভালো!! কিন্তু কথা হচ্ছে/ সকলে কাজ বাদ দিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন যে? (আমি)
:-আড্ডা দিচ্ছি কারণ মেডাম এখনো আসেনি? (নাবিলা)
:-ওহো,,,কেনো আসে নি? (আমি)
:-কেনো আসেনি জানি না? (নুসরাত)
:-ভাই,,এইসব বাদ দিয়ে,, আপনি ফারিয়া মেডাম আর আপনার কাহিনি কি সেটা বলেন? (ফেরদোস)
:-হু,,ঠিক!! সেটি বলেন? (সকলে একসাথে)
:- নাহ্হ্,,এখন না!! এখনো সময় হয়নি (আমি)
:-এই যে মিস্টার এটি কিন্তু ঠিক না,,আপনি কালকে আমাকে বলছেন আপনি বলবেন আজ? (সুজাতা)
:-আমাদেরকেও বলছিলো বলবে? (নাবিলা)
:-সরি,,,একটু মিথ্যা বলেছি সবাইকে,,,তবে এটি সত্য একদিন আপনাদের সবাইকে বলবো/ (আমি হাঁসি দিয়ে)
:-এটি কিন্তু ঠিক করছেন না? (ফারহাদ)
:-আরে বাদ দিন,,বলবো তো বলছি!! একদিন বললেই হলো!!
এখন চলুন যার যার সিটে যাই,,,মেডাম যখন -তখন আসতে পারে! এরকম গোল মিটিং করতেছি দেখলে খবর আছে? (আমি)
:-হুমম,,ঠিক বলছেন,,চলেন যার যার সিটে যাই? (নুসরতা)
:-হুমম,, (সাজাতা)
(তারপর আমরা যার যার সিটে গিয়ে বসলাম)
::
;:
আমি সুজাতার পাশে বসে কাজ শিখতে ছিলামম,,,,
:-আচ্ছা,,,মেডামের সাথে আপনার কাহিনি কি বললেন না কেনো? (সুজাতা জিঙ্গাসা করলো)
:-আরে বাদ দিন,,বলবো সময় মতো ? আপনি আমাকে একটি কথা বলেন তো/ (আমি)
:-কি কথা? (সুজাতা)
:-আপনি কি প্রেমে ছ্যাকা খাই ছিলেন নাকি,,যার জন্য এঁকা এঁকা চুপচাপ থাকতেন? (আমি)
:-হাহাহাহাহাহা,,, প্রেম কি তাই বুঝলাম না আবার ছ্যাকা? 😂 (সুজাতা)
:-মানে কি,, আপনি বলতে চাচ্ছেন,,আপনি কখনো প্রেম করেন নি? (আমি)
:-নাহ্হ্হ্,,করিনি? 😂 (হেঁসে বললো,সুজাতা)
(আমি ঘাঁড় ব্যাকা করে সুজাতার মুখের দিকে তাঁকালম,,
:-😳😳...(আমি)
(ঠিক তখনি,,,ফারিয়া অফিসে ঢুকলো,,আর আমাদের দিকে তাঁকালো)
:-😅😅 কি ব্যাপার এভাবে তাঁকিয়ে আছেন কেনো? (সুজাতা আমার তাঁকিয়ে থাকার ভাব দেখে হাঁসতে লাগলো)
;-নাহ্হ্,,আমি দেখতেছি,, এই যুগের মেয়ে নাকি প্রেম করেনি? বিষয়টা খুবই রহস্যজনক 🤔 (আমি ফারিয়ার দিকে তাঁকিয়ে থেকে বললাম)
:-জ্বি,,আমাকে দেখুন আমি সিঙ্গেল 😂😂 (সুজাতা)
:-বিশ্বাস হচ্ছে না,,আমি তো ভাবতাম শুধু ফেসবুক ব্যবহার কারি মেয়েরা সিঙ্গেল কারণ তাদের বয়ফ্রেন্ড নেই বলেই ফেসবুকে এসে বয়ফ্রেন্ড খোঁজে?
আপনার কিকি ফেসবুক আইডি আছে 🤪🤪 (আমি)
(আমাদের হাঁসাহাসি দেখে রাগে ফুলতে ফুলতে ফারিয়া তার রুমে গেলো!!
ফারিয়া,,রুমে গিয়ে রাগে ফুলতে লাগলো,,
আর ভাবতে লাগলো আমাকে কিভাবে শায়েস্তা করবে।
সত্যি,বলতে ফারিয়ার মনে আমার জন্য একটুও ভালোবাসা নেই,,আছে শুধু ঘৃণা!!
ভালোবাসাটা জন্মাবে তবে সেটিটি অনেক দেরিতে!! )
এদিকে,,,
:-নাহ্হ্,,আমার কোন আইডি নেই! তবে হ্যা মেয়েদের সম্পর্কে এমন ধারণা ঠিক না হুম? (সুজাতা)
:-আরে মজা করলাম?
আমি নারী জাতিকে অনেক মর্যাদা করি,,কারণ তারা মায়ের জাত 😌 (আমি)
:-ধন্যবাদ (সুজাতা)
:-হুমমম!! (আমি)
(আমি আর সুজাতা বসে বসে গল্প করছিলাম আর কাজ শিখতে ছিলাম,,,
ঠিক তখন,,, পিয়ন আসলো,,
;-স্যার,, আপনাকে মেডাম ডাকে? (পিয়ন)
:-আজকে আবার ডাকে কেনো? (আমি)
:-জানি,,আপনাকে এখনি যেতে বলছে? (পিয়ন এই বলে চলে গেলো)
::
::
:-দেখি আজ আবার কি বলে? (আমি)
:-হুমম,,সাবধানে? (সুজাতা)
:-ভাই,,আজ আবার ডাকে কেনো/ (নাবিলা)
:-গিয়ে দেখি কি বলে? (আমি)
:-আপনার কপালটা খারাপ? (ফেরদোস)
:-হুমম,,,,পুরা কপাল? থাকেন,,দেখি কি বলে? (আমি)
(তারপর মেডামের রুমে আসলাম,,
:-মেডাম আসবো? (আমি)
:-হুমম,,,আসুন? (ফারিয়া)
(এই যে অফিসে ভর্তি হয়েছি না,,,
এখন পর্যন্ত ফারিয়া কখনো আমাকে বসতে বলেনি,,,
আজকেও বললো না)
:-মেডাম আমাকে ডেঁকেছেন? (আমি)
:-অফিসে কাজ বাদে এতো হাঁসাহাঁসি কিসের? (ফারিয়া)
:-কখন হাঁসাহাঁসি করলাম মেডাম? (আমি)
:-আবার মুখের ওপর কথা বলেন,,,আমি নিজের চোখে দেখেছি,,,আপনি কাজ বাদ দিয়ে সুজাতার সাথে মধূর গল্পে আচ্ছন্ন ছিলেন? (ফারিয়া)
:-আসলে মেডাম,,কাজের মধ্যে একটি কথাতে হাঁসতে ছিলাম? (আমি)
:-এঁটি হাঁসাহাসির জায়গা না,,,, কাজ করতে ভদ্র ভাবে কাজ করবেন। নিয়ম মেনে কাজ করবেন? (রেগে বললো)
:-জ্বি,,,মেডাম!! আর হাঁসাহাঁসি করবো না,, (আমি)
:-হুমম,,মনে থাকে যেনো? (ফারিয়া)
:-হুমম,,মেডাম মনে থাকবে? এখন আমি আসি মেডাম? (আমি)
:-চুপ করে এখানে দাঁড়িয়ে থাকুন দাঁড়িয়ে থাকুন? (মেডাম)
:-কেনো? মেডাম? (আমি)
:-কেনো আপনাকে বলতে হবে? দাঁড়িয়ে থাকতে বলছি দাঁড়িয়ে থাকুন? (ধমক দিয়ে বললো)
:-.....(আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলামম,,,
কিন্তু কেনো দাঁড়িয়ে আছি জানি না!
হয়তো সুজাতার সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছি বলে,,
দাঁড়িয়ে থাকাটা আমার শাস্তি,,,১০মিনিট দাঁড়িয়ে আছি!!
তারপর মেডাম,,আমার দিকে তাঁকিয়ে বললো,,,
:-এই চেয়ারটা নিয়ে ওইখানে যান? (ফারিয়া)
:-কেনো মেডাম? (আমি)
:-আর একবার যদি প্রশ্ন করেন,,তাহলে আপনার খবর আছে? 😡 (ফারিয়া)
(আমি আর কিছু না বলে,, চুপচাপ চেয়ার নিয়ে রুমে একপাশে গেলাম মেডামের কথা মতো)
(আর এদিকে বাইরে,,সকলে ভাবতে লাগলো ভিতরে আমি এতোক্ষণ কি করি)
আমি চেয়ার নেওয়ার পর,,,ফারিয়া বললো,,,
:-চেয়ারে চুপচাপ বসে থাকুন? (ফারিয়া)
(আমি চুপচাপ বসে পড়লাম,,কিছু বললাম না,,
কিন্তু ফারিয়ার এই সব করার আগা-মাথা কিছুই বুঝলাম না।
আমাকে বসিয়ে রেখে নিজে তার কাজ করতে লাগলো)
::
::
আরো আধাঘন্টা নিরবে বসে থাকলাম,,,
কিন্তু ফারিয়া আর কিছু বললো না!!
কিন্তু আমার চোখ হঠাৎ ফারিয়ার চোখের মায়ায় আটকে গেলো,,
ফারিয়ার চোখগুলো টানা-হরিণের চোখের মতো!!
এতো সুন্দর চোখ,,,,
ওর চোখের দিকে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা তাঁকিয়ে থাকতাম,,
যখন আমাদের রিলেশন ছিলো,,,
তাই আমি একনজরে সেই আগের মতো,,গালে হাত রেখে নিরবে ফারিয়ার দিকে তাঁকিয়ে থাকলাম 🙂🙂
কিছুক্ষণ পর,,ফারিয়া বিষয়টা বুঝতে পারে,,
আমি সেই আগের মতো ওর দিকে তাঁকিয়ে রয়েছি!!
তাই ফারিয়া আর কাজেজে মনোযোগ দিতে পারছিলো না,,,
এদিক-ওদিক করছিলো,,,যাতে আমার দৃষ্টি পড়ে,,
কিন্তু ফারিয়া খুব ভালো করেই জানে,,,আমি কিভাবে ওর চোখের দিকে তাঁকিয়ে থাকতাম!!
::
::
ফারিয়া আর সহ্য করতে না পেরে,,,সিট থেকে উঁঠে আমার কাছে আসলো,,,
:-কি ব্যাপার কি হচ্ছে এঁটা? 😡 (ফারিয়া)
(আমার ধ্যান ভাঙলো,,
:-কি হচ্ছে মেডাম? (আমি না বোঝার ভান করে)
:-কিছু,বুঝছেন না? আমার দিকে তাঁকিয়ে ছিলেন কেনো?
(মেডাম)
:-কোথায় মেডাম? আমি তো আপনার পাশে থাকা ঔ চমকপ্রদ কলটির দিকে তাঁকিয়ে আছি,,,মেডাম কলমটা কত দিয়ে কিনছেন? (আমি 🤪)
(এখন কি বলবি রে,,,মনে মনে আমি)
:-কিহ্হ্,,তুই কলমের দিকে তাঁকিয়ে ছিলি? (ফারিয়া)
:-হুমম,,,আপনার দিকে তাঁকাবো কোন দুঃখে,,,(আমি)
(কেমন লাগে দেখ এখন))
:-যান,,আপনি আমার সামনে থেকে? 😡 (ফারিয়া)
(আমি এই কথাটি শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম,
শোনা মাত্রই আমি দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে আসলাম,,,
আমি দ্রুত বেরিয়ে যাওয়া দেখে,,,ফারিয়া অবাক চোখে তাঁকিয়ে আছে)
::
::
যাই হোক,,১ ঘন্টাপর বাইরে বের হয়ে দেখলাম আরেক ঘটনা,,,
সব স্টাফ বাইরে দাঁড়িয়ে আছে,,,
আর আমাকে দেখে,,সকলে আমার কাছে আসলো,,
আর খুব কাছ থেকে আমাকে দেখতে লাগলো,,,
লে হালুয়া,,,ভিতরে ছিলাম এক বিপদে বাইরে আবার আরেক ঝামেলা,,,
:-ফারহাদ,,ফেরদোস ভাই কি হচ্ছে এগুলো,,,(আমি)
:-নাহ্হ্,,দেখতেছি,,আজকে কোথায় কোথায় থাপ্পড়ের দাঁগ রয়েছে? 🤔 (ফারহাদ)
:-এই ১ঘন্টা ধরে ভিতরে কি করলেন বলেন তো? 🤔 (ফেরদোস)
:-আরে কিছু না,,মেডাম শুধু আমাকে ভিতরে বসিয়ে রেখে ছিলো? (আমি)
:-শুধুই কি বসিয়ে রেখেছে নাকি,,,অন্য কিছুও করেছে? 😂 (নাবিলা)
:-আরে কি বলছেন এগুলো,,(আমি)
:-কি হচ্ছে এখানে? (হঠাৎ ফারিয়া রুম থেকে বাইরে এসে বললো)
(ফারিয়া দেখলো সকলে আমাকে ঘীড়ে দাঁড়িয়ে আছে)
:-কি হলো বলুন,,সকলে এখানে কি করছেন? (ফারিয়া)
:-নাহ্,,মেডাম কিছু না!! এই একটু কথা বলতে ছিলাম!! (নুসরাত)
:-হুমম,,মেডাম!! (সুজাতা)
ফারিয়া,,আমার দিকে কেমনমন চোখ যেনো তাঁকালো,,তারপর বললো,,
:-ওহো,,
আচ্ছা আপনারা শুনুন,, কালকে আমাদের সকলের কুয়াকাটা যেতে হবে? অফিসের কাজে সাথে ভ্রমণ?
১০দিনের সফর? তাই সকলেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসবেন? (ফারিয়া)
:-আচ্ছা মেডাম? (সকলে একসাথে)
(হঠাৎ,,,ভ্রমণ আবার অফিসের কাজ আবার কুয়াকাটা বিষয়টা কেমন জানি লাগলো আমার কাছে)
:-হুমম,,কালকে সকাল ১০
টার মধ্যে সকলে চলে আসবেন? তবে এই ভ্রমণে অফিস স্টাফ বাদে বাইরের কেও allow না।
(এই বলে ফারিয়া তার রুমে চলে গেলো)
::
::
;;
আর এদিকে সকলে তো খুব খুঁশি,,, কারণ ভ্রমণে যাবে তাও ১০ দিনের জন্য অফিস থেকে সব খরচ?
আমিও অনেক খুঁশি হলাম!!
তবে ছোট বোনকে নিয়ে যেতে পারলে ভালো হতো!!
কিন্তু বাইরের কেও তো allow না!!
যাই হোক,,,,বোনকে বলবো নি,,অফিসের কাছে বাইরে যাবো,,,ভ্রমণের কথা শুনলে মন খারাপ করবে!!
::
::
::
তারপর ছুঁটির সময়,, আমি ফারহাদ ভাইয়ের কাছে গেলাম সাহায্যের জন্য,,
কারণ ১০দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি,,বাসায় কিছু টাকা না দিয়ে গেলে,,,,বাবা-মা,, বোন খাবে কি? 😥
:-ফারহাদ ভাই,,আমার একটি সাহায্য করবেন? (আমি)
:-কি সাহায্য বলুন? (ফারহাদ)
:-আসলে বাইরে যাচ্ছি,,অনেকদিনের জন্য তাই বাড়িতে কিছু টাকা দেওয়ার দরকার ছিলো,,যদি কিছু টাকা ধার দিবেন?? (আমি)
:-নাহ্হ্,,দিবো না? (ফারহাদ)
:-😥😥😥..(মুখের ওপর না করে দিবে ভাবতে পারিনি,,মনটা খারাপ হয়ে গেলো)
:-আচ্ছা,,ঠিক আছে!! আমি আসি? 😥😥 (আমি)
:-আপনাকে আমি টাকা দিবো কেনো? ভাই বলে ডাকছি আপনাকে আর আপনি কিভাবে এসে টাকা চাচ্ছেন?
আমাকে কিছু টাকা ধার দিবেন? (ফারহাদ ভাই ব্যাঙ্গ করে রেগে বললো)
(বুঝলাম,,উনি রাগ করছে,,আমি ওভাবে টাকা চেয়েছি বলে,,,
:-বলুন,,কত লাগবে? (ফারহাদ ভাই)
(আমি ফারহাদ ভাইকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম,,
আর অামার চোখ দিয়ে অঝরে পানি বের হতে লাগলো 😭)
:-আরে কান্না করছেন কেনো? বলুন কত লাগবে? (ফারহাদ)
:-৫ হাজার হলে হবে? (আমি)
;-ওকে!!
(ফারহাদ ভাই ৫হাজার টাকা বের করে দিলো!)
(তখনি আবার ফেরদোস ভাই এসে,,
:-ওহো,,আমি তাহলে কারো ভাই না? (ফেরদোস ভাই)
:-এভাবে বলছেন কেনো? আপনি তো আমারও ভাই? (আমি)
:-যদি ভাই হতাম,,তাহলে আমার কাছে এসে টাকা চাইতেন? (ফেরদোস ভাই)
:-সরি,,ভাই!! পরের বার চাবো? (আমি)
:-😂😂...(ফারহাদ ভাই হেঁসে দিলো)
:-ধরুন,,,? (ফেরদোস ভাই আরো ৫ হাজার বের করে আমার হাতে দিলো(
:-আরে আমার এতো টাকা লাগবে না!! (আমি)
:-ধুরন বলছি!! (এক প্রকার জোড় করে আমাকে টাকাগুলো দিলো,,
আর বলে দিলো দুজনে,,টাকা ফেরত দেবার কথা বললে খবর আছে)
(খুঁশিতে আমার চোখে পানি টলমল করতে লাগলো 🥺🥺)
::
(এরকম সহপাঠীদের সাথে কাজ করলে,, এদের মতো ভাই থাকলে,,পৃথিবীটা কত সুন্দর লাগে!!
বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে তখন 🥰)
::
::
::
যাই হোক টাকাগুলো নিয়ে বাসায় গেলাম,,
বাসায় গিয়ে,,বোন-বাবা-মাকে বোঝালাম অফিসের কাজের জন্য বাইরে যাবো!!
তাদেরকে ৫ হাজার টাকা দিলাম,,
আর ৫ হাজার আমার কাছে রাখলাম,,,
::
রোদেলাকে বললাম,,এই কয়দিন কলেজ না যেতে,,,,
বাবা-মার কাছেছে থাকতে বললাম,,,
আর সকালে বাড়ি থেকের বের হওয়ার সময় বোনের কান্না দেখে আর আসতে ইচ্ছা করছিলো না,,,
তবুও চলে আসলাম!!
বোনটা এমনি আমি কোথাও গেলে কান্না শুরু করে দেয়!!
::
::
::
যাই হোক অফিসের সামনে এসে দেখি সকলে এসে হাজির,,,
শুধু আমি দেরিতে আসছি!!
আর হ্যা,,,ফারিয়ার প্রিয় কালার নীল রং -এর পান্জাবী পড়ে আসছি,,,
কিন্তু ফারিয়া আমার দিকে একবার তাঁকিয়ে আর তাকালো না!!
::
::
যাই হোক,,খারাপ লাগলেও আমি যাওয়াতে বাস চলা শুরু করলো,,,
আমার পাশে সুজাতা এসে বসেছে,,,আর একটি দেখে ফারিয়া রাগে ফুলতে লাগলো,,
আর ফারিয়া এঁকা আমার পাশের বিপরীত সিটে বসেছে!!
পুরো একটা বাস,,,, যাত্রী মাত্র ৭ জন!!
::
::
আমরা সকলে একত্রে হলাম,,,মানে পাশাপাশি বসলাম,,,
ভ্রমণটাকে মজাদার করতে,,সকলে একত্র হয়ে মজা করতে লাগলাম,,,
বিশেষ করে সুজাতা বার বার আমার গাঁয়ে ঢলে পড়ছিলো,,
আর ফারিয়া তা দেখে রাগে অন্য দিকে তাঁকিয়ে ছিলো,,
মাঝেমাঝে আমাদের দিকে তাঁকাচ্ছিলো 😡।
::
::
যেই ফারিয়া আমার আশেপাশে কোন মেয়েকে আসতে দিবো না,,সেই ফারিয়ার সামনে এগুলো হচ্ছে,,
আসা করিরি বুঝতে পারছেন,,কি পরিমাণ রাগা রাগতেছে ফারিয়া,,
::
::
::
যাই হোক,,,অবশেষে আমরা কক্সবাজার বাজার আসলাম,,সেখান থেকে জাহাজে উঠলাম,,,
সেন্টমার্টিন্ট যাওয়ার জন্য,,,
কিন্তু পানি দেখে আমি অনেক ভয় পাই,,,
কারণ আমি সাঁতার জানি না,,
ফারিয়া জানে এটি!!
::
::
::
আপনাদের বলে রাখি এটি কোন অফিসের ট্রিপ ছিলো না,,এটি ছিলো ফারিয়ার সাজানো একটি ট্রিপ!!
শুধুমাত্র আমাকে শিক্ষা দেবার জন্য ফারিয়া এই ট্রিপটির প্লান করেছে!!
চলেন দেখি ফারিয়া কি করে আমার সাথে,,,
তবে হ্যা,,আপনারা কেও ফারিয়ার উপর রাগবেন না,,কারণ গল্পের আসল,, মানে প্রধান কাহিনি একটু পরেই ঘটবে,,
আর যারা ভাবছেন,, গল্পটি আর কিছু পর্ব হয়ে শেষ হয়ে যাবে,,,
তারা শুনে রাখুন,,,গল্পটি অনেক বড়,,অনেক কাহিনি নিয়ে সংগিহিত,,,ধীরে ধীরে বুঝবেন।
সাথে থাকুন,,,অনেক ভালো লাগবে আপনাদের!!
::
::
::
যাই হোক জাহাজে ওঠার পর,,,
আমরা সকলে মিলে,,জাহাজের কিনারা এসে উপর থেকে নিচের পানি দেখতে ছিলাম!!
তীর থেকে অনেক দূরে চলে আসছি!!
তখন,,,
:-অনেক ক্লান্ত লাগছে আমার,,, চলেন রেস্ট নিই? (ফারহাদ ভাই)
:-হুমম,,,চলেন সকলে/ (নাবিলা)
(তারপর সকলে রেস্ট নিতে যেতে লাগলো)
:-কি হলো আপনি আসছেন না কেনো? (সাজাতা)
:-আপনারা যান আমার অনেক ভালো লাগছে? (সত্যি আমার অনেক ভালো লাগতেছিলো,,)
:-আচ্ছা,,থাকেন আমরা গেলাম!! (সুজাতা)
:-আমি জাহাজের কিনারায় দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখতে থাকি? (আমি)
(আমার পিছনে একটু দুরে ফারিয়া দাঁড়িয়ে ছিলো!!)
(বাকি সকলে একটু আড়ালে যাওয়ার পর,,,ফারিয়ার মুখে হাঁসি ফোটে!!
কারণ ফারিয়া এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিলো?
হ্যা,,আপনারা যা ভাবছেন তাই,,,ফারিয়া আমাকে মেরে ফেলার চিন্তা করেছিলো!!
তবে এই পরিকল্পনাটা করেছে আবেগের বসে,,,ফারিয়া নিজেজেও জানে না,,সে কি করছে)
::
::
::
যাই হোক,,,সুযোগ বুঝে,,আশেপাশে কেও নেই দেখে,,
তখনি ফারিয়া চুপিচুপি দৌড়া সোজা আমার কাছে এসে,,,,
খুব জোড়ে আমাকে ধাক্কা দিলো,, যাতে আমি জাহাজ থেকে সমুদ্রে পড়ে যাই?
কারণ ফারিয়া জানতো আমি সাঁতার জানি না!!
::
;;
::
::
:;
::
কেউ ধৈর্য্য হারাবেন না!!
প্লিজ কেও বাজে কমেন্ট করবেন না!!
::
;:
জানি না পর্বটি কেমন হয়েছে? কমেন্টে জানাবেন কেমন হলো?
বাকি পর্ব গুলো হবে আমার সময়?
::
সারা দিয়ে সাথে থাকুন? ধন্যবাদ সকলকে?
::
::
::
::
::
::
#চলবে
::
::
::
বি.দ্র.ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
0 Comments:
Post a Comment