X-গার্লফ্রেন্ড_অফিসের_বস
❣️❣️
পর্ব :- ৩
writer📝 :- Mohammad Alauddin sheikh (গল্প লেখক)
::
::
:-নাহ্ মানে মেডাম......😟 (আমি)
:-ঠাসসসসসসসস...😡😡 (খুব জোড়ে আমাকে থাপ্পড় মারলো)
:- 😢😢😢...(আমি গালে হাত দিয়ে ফারিয়ার দিকে অবাক হয়ে তাঁকিয়ে থাকলাম)
:-তোর সাহস হলো কি করে আমাকে কল করার? 😡😡 (প্রচন্ড রেগে বললো)
:- আমি ভুল করে ফেলেছি,,আমাকে ক্ষমা করে দিন প্লিজ?😥😥😥 (আমি মাথা নিচু করে)
(ফারিয়া যে এতোটা রেগে যাবে ভাবতেও পারছি না)
:-শোন,,,তোকে চাকরি দিয়েছি বলে মনে করবি না,,আমি পুরনো সবকিছু ভুলে গিয়েছি?
তাই পরবর্তীতে আমার ফোনে আবার ফোন করলে তোরে চাকরি থেকে বের তো করবোই,,আর কি কি করবো জানি না? 😡😡 (ফারিয়া)
:-...😥😥😥😥 (বুক ফেটে কান্না আসছে আমার. কিন্তু নিজেকে কন্টোলে রাখলাম!! )
:-আমাকে মাফ করে দেন? জীবনেও আর কখনো আমি আপনাকে ফোন দিবো না😥😥 (আমি)
:-এই তুই যা তো আমার চোখের সামনে থেকে?
আর ১২ টার পর ফাইলটা নিয়ে আসবি? 😡😡 (ফারিয়া)
:- আচ্ছা মেডাম 😥😥😥😥...
(আমি আর কিছু না বলে,,নিজেকে ঠিক করলাম,,যাতে বাইরের কেও না বোঝে ,
আমার সাথে কি হয়েছে)
::
::
আমি বাইরে এসে কারো সাথে কোন প্রকার কথা বললাম না,,,,,
কিন্তু নাবিলা আর নুসরাত মেডাম দেখলাম বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ,,,
উঁনারা আমাকে দেখে আমার কাছে আসলো,,,
:-কি ব্যাপার ভিতরে এতোক্ষণ কি করলেন? (নাবিলা )
:-কৈই কিছু করিনি তো,,মেডাম আমাকে কাজ সম্পর্কে কিছু ধারণ দিলো,, (আমি স্বাভাবিক ভাবে বললাম)
:-আপনি মিথ্যা বলছেন? আমি স্পষ্ট ফারিয়া মেডামের জোরে কথা বলার শব্দ পাইছি,,,, মেডাম আপনার সাথে অনেক খারাপ ভাবে কথা বলছে? (নুসরাত)
:-আরে নাহ্হ্হ,,,মিথ্যা বলছি না!! খারাপভাবে কথা বলবে কেনো? (আমি)
:-যদি ভিতরে কোনকিছু না হয়ে থাকে, তাহলে আপনার মুখে পাঁচ আঙুলের দাঁগ হয়ে আছে ওটি কিসের? (ফারহাদ আর ফেরদোস ভাই এসে বললো)
(যাদের সাথে কাজ করি,,তাদের সামনেও আর লজ্জা বলতে কিছু থাকলো না 😥)
:-😥😥😥...
(আমি আর কিছু না বলে,,,চুপ করে মাথা নিচু করে থাকলাম।
কারণ অযথা মিথ্যা কথা বলে লাভ নেই,,কারণ তারা সব বাইরে থেকে শুনতে পেয়েছে😥)
:-আমি বুঝি না,,,মেডাম তো এমন না! অনেক ভালো মনের মানুষ তাহলে আপনার সাথে এমন করে কেনো? (ফেরদোস ভাই)
:-আমার মনে হয়,,,কোন কিছু জন্য মেডাম উঁনার উপর রেগে আছে? (নাবিলা)
:-কি ব্যাপার,, আপনি চুপ কেনো? বলুন মেডাম কেনো আপনার সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করে? (নুসরাত)
:-শুনতে চান আপনারা? 😥 (আমি তাঁদের দিকে তাঁকিয়ে বললাম)
:-হুমম,,,বলুন? (সকলে একসাথে)
:-বলবো,,তবে এখন না!! ব্রেক টাইমে বলবো!! এখন আমাকে মেডামের দেওয়া ফাইলটা তৈরি করতে হবে? 😥😥 (আমি)
এই বলে,,,সোজা আমি আমার সিটে চলে আসলাম,,,
:-কিন্তুতত.... (পিছন থেকে উঁনারা ডাকতে লাগলো,,
আমি না শুনে চলে আসলাম)
::
;;
আমার সিটে এসে চুপচাপ ফারিয়ার দেওয়া ফাইলটা বের করলাম,,,
ফাইলের দিকে তাঁকিয়ে দেখি কোন কাজই করি নি 😥
করবো কিভাবে,, আমি তো কোন কাজই পারি না!!
কিভাবে কি করতে হয় জানি না 😥😥
::
::
আমি বোকার মতো ফাইলটা ঘাটাঘাটি করতে ছিলাম,,
কখন যে মনের মধ্যে আটকে থাকা কষ্টে নিজের চোখে পানি এসে ভোরে গিয়েছে আমি তা জানি না😥
চোখের পানি নিজের অজান্তেই আমার গাল বেয়ে পড়তে লাগলো,,,😭
::
::
চোখের পানি মুছার সময়,,আমি পাশের সিটে আঁড় চোখে তাঁকিয়ে দেখি সুজাতা নামের মেয়েটি আমার দিকে অবাক চোখে তাঁকিয়ে আছে 😳,
আমি দ্রুত নিজের চোখের পানিগুলো মুছে,,, নিজেকে আড়াল করলাম সুজাতা মেডামের কাছ থেকে!!
::
::
;;
এরপর ফাইলের কাজটি নিয়ে ভাবতে ভাবতে কখন যে,,,,
১২ টা বেজে গিছে জানি না 😥
আজকে আবার অফিসের বস মানে ফারিয়ার বাবা করিম চৌধুরি উঁনি অফিসে আসবেন,,,
কারণ আমার কাছে দেওয়া ফাইলটি নিয়ে কোথায় যেনো যাবেন?
হয়তো কোন মিটিং আছে!!
কিন্তু ফাইলের কোন কাজই তো আমি শেষ করতে পারিনি!! 😥😥
১২টা ৩০ বাজে,,,ফারিয়া মেডাম অনেকক্ষণ আগে ফাইল নিয়ে যেতে বলেছে!!
আমি যায় নি,,,কিভাবে যাবো কোন কাজই তো করতে পারিনি!! 😥😥
জানি না,,এখন আমার কপালে কি আছে? 😥
::
::
এভাবে কি কাজ করা যায়,,,,জানি কি করবো,,
বুঝি না কাজের ধারণা 😥😥
ভাবতেছি কাজটি নিজে থেকেই ছেঁড়ে দিবো!!
এভাবে অপমান হতে আর ভালো লাগছে না,,,,😥😥
এতে আমার পরিবারের যা হওয়ার হবে!!
অন্য চাকরি দেখবো,,নাহলে রিকশা চালিয়ে পরিবার চালাবো,,তবুও আর এখানে থাকতে পারবো না 😥😥😥
::
::
এইসব যখন বসে বসে ভাবতে ছিলাম,,,
তখন হঠাৎ ফারিয়া মেডাম তার রুম থেকে বের হলেন,,,,
আর সোজা আমার কাছে আসলেন,,,
ফারিয়া মেডামকে দেখে সকলে দাঁড়িয়ে গেলেন,,,
আমিও দাঁড়ালাম,,,
ফারিয়া আমার কাছে এসে বললো,,,
:-ফাইল কোথায়? (রেগে কিছুটা)
:-....আমি ফাইলটা ভয়ে ভয়ে মেডামকে দিলাম !😟
:-......মেডাম ফাইলটা খুলে দেখলো ফাইলের কোন কাজই হয়নি,,,,
এতে উঁনি প্রচন্ড রেগে গেলেন,,,😡😡
আর ফাইলটা জোড়ে আমার মুখে ছুঁড়ে মারলেন?
:-কি করেছেন এগুলো? কোন কাজই তো শেষ করতে পারেন নি/ 😡😡 (ফারিয়া রেগে জোড়ে জোড়ে কথাগুলো বললো)
:-😥😥😥...(আমি চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম)
:-ছেলেখেলা মনে করেছেন এটি,,,১ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট এটি!! তার থেকে বড় কথা তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা কি হবে যদি ফাইলটা এখন জমা না দিতে পারি 😡😡 (ফারিয়া)
:-😥😥😥😥.. (আমি কি বললো বুঝছি না)
:-আপনাদের বস আসতেছে,,কি বলবেন উনাকে? 😡😡
(বলতে না বলতেও বস রুমে ওসে হাঁজির,,,
:-কি হয়েছে এখানে? (বস এসে বললো)
:-স্যার,,,,কাজের ফাইলের কাজ শেষ হয়নি বলে মেডাম উঁনার সাথে রাগারাগি করতেছে? (ফারহাদ ভাই বললো বসকে)
:-কোন ফাইল? (বস)
:-যেই ফাইলটা নিতে আপনি এঁসেছেন? (ফারহাদ)
:-হোয়াট,,,কাজ শেষ হয়নি মানে!! এখন তো সেই ফাইলটা আমার লাগবে? 😳 (বস অবাক হয়ে)
:-এই নতুন স্টাফ কাজ করতে পারিনি!! 😡 (ফারিয়া রেগে বললো)
(তারপর বসও রেগে আমার কাছে আসলো,,
:-কি ভেবেছো টা কি? নতুন কাজে যোগ দিয়ে কাজে চুরি করা? কেনো কাজ করো নি বেয়াদব ছেলে? 😡😡 (বস রেগে আমাকে বললো)
:-.....😭😭😭(আমি আর সহ্য করতে না পেরে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলো)
:-এই একদম কান্না করবে না,,,কাজ করোনি কেনো তাই বলো/
নাহলে ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দিবো? 😡 (বস)
:-😭😭😭 সরি স্যার? (আমি)
:-সরি,,কিসের সরি!! কাজ করো নি কেনো? 😡😡 (বস)
:-স্যার,,আমি একটি কথা বলি? (ফারহাদ ভাই)
:-তুমি কি বলবে? (বস)
;- স্যার,,,উঁনি কিভাবে কাজ করবে,,,উঁনার তো কাজ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই? (ফারহাদ ভাই)
(ফারিয়া তার ভ্রু কুঁচকে ফারহাদ ভাইয়ের দিকে তাকালো)
:-মানে কাজ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই মানে/ (অবাক হয়ে বস)
:-মানে বস,,উঁনি তো নতুন,,,আর নতুনতুন স্টাফের কারো আন্ডারে কাজ করতে দিতে হয় এটাই নিয়ম,,কিন্তু ফারিয়া মেডাম উঁনাকে কারো আন্ডারে দেয় নি,,,
সো,,উঁনি কাজ পারবে কিভাবে? (ফারহাদ)
:-what's? ফারিয়া কি শুনছি এগুলো? এগুলো কি সত্যি? (বস)
:-হুমম,,,সত্যি!! কিন্তু আমি,তো ভেবেছিলাম উঁনি কাজজ গুলো পারবে? (ফারিয়া)
:-ভেবেছিলাম মানে,,,,নতুন স্টাফ কারো আন্ডারে দেও নি,,তারপর আবার এতো বড় কাজ তার কাছে দিসো,,,,
সব দোষ তো তোমার,,,ছেলেটির তো কোন দোষ নেই? (বসের ফোনে ফোন আসলো)
:-সরি? 😞 (ফারিয়া)
:-তোমার কাছ থেকে আমি এটি আসা করিনি!! এই যে দেখো ফাইলের জন্য,ফোন দিচ্ছে,,কি বলবো তাঁদের এখন? (বস)
:-😞...(আমার মতো ফারিয়াও চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো)
(তারপর বস ফোনটি রিসিভ করলো,,,
তারপর বস ফোনের ওপাশে থাকা লোকটিকে বললো,,,
:-আসলে একটু সমস্যার কারণে ১ ঘন্টা দেরি করেরে ফাইলটা দিতে,,,,১ঘন্টা পর দিলে কোন সমস্যা হবে? (বস)
:-....(ওপাশ থেকে কি বললো আমি জানি না)
:-অনেক অনেক ধন্যবাদ!! ১ ঘন্টা পর,,,ফাইল নিয়ে আমি আসতেছি!! (বস এই বলে ফোন কেটে দিলো)
::
::
ফোন কেটে দেবার পর,,,
:-শোন সকলে,,,তোমরা সকলে মিলে ১ ঘন্টার মধ্যে ফাইলটা রেডি করবে!! আমি ভিতরে আছি!! (বস)
:-ওকে স্যার!! আমরা দেখতেছি? (ফারহাদ ভাই)
(এই বলে ফারহাদ,,ফেরদোস,,নুসরাত,,নাবিলা সকলে মিলে ফাইলের কাজ করতে লাগলো,,,
আর বস আমাকে বললো,,,,
:-এই ছেলে,,তোমার নাম কি? (বস)
:-জ্বি,,আলাউদ্দিন স্যার? 😥 (আমি)
:-বলো,,তুমি কার আন্ডারে কাজ করবা? (বস)
:-আপনারা যার আন্ডারে দিবেন? (আমি)
:-স্যারর,,,উঁনার সিট আমার পাশে,,তাই উঁনাকে আমার আন্ডারে দেন? (সুজাতা মেডাম বলে উঁঠলো)
(আমরা সকলে সুজাতার দিকেকে তাঁকালাম,,
:-এই তো পাওয়া গিছে,,,আজ থেকে তুমি সুজাতার সাথে কাজ করবা? (বস এই বলে তার রুমে চলে গেলো)
::
::
::
এদিকে ফারিয়া,,আর ফারহাদ ভাইরা মিলে,,,ফাইলটি তৈরি করতে লাগলো,,,
আর এদিকে সুজাতা মেডাম ডাকলো,,
আমি উঁনার কাছে গেলাম,,,আর উঁনার পাশে বসলাম,,
:-আচ্ছা,,,একটি কথা বলুন তো? (সুজাতা মেডাম বললো)
:-জ্বি বলুন? (আমি)
:-আপনার সাথে ফারিয়া মেডাম এমন করলো কেনো? প্রথম দিন থেকে দেখতেছি আপনার সাথে মেডাম রুট ব্যবহার করে ? কিন্তু কেনো করে এমন? (সুজাতা)
:-শুনতে চান? (আমি)
:-হুমম,,অবশ্যই বলুন? (সুজাতা)
:-বলবো,,তার আগে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিন? (আমি)
:-ওকে বলুন,,কি জানতে চান? (সুজাতা(
:-আপনি কারো সাথে কথা বলেন না কেনো? আর হঠাৎ কেনো আমাকে আপনার আন্ডারে নিলেন? (আমি)
:-আমার ভালো লাগে না!! তাই চুপচাপ থাকি. (সুজাতা)
:-আপনি যেদিন,,, সবার সাথে মিলেমিশে থাকবেন,,,সবার সাথে ফ্রি হবেনন,,সেদিন বলবো ফারিয়া মেডাম কেনো আমার সাথে এমন করে? (আমি)
:-যদি আজই সবার সাথে কথা বলি? 🙂 (সুজাতা)
:-তাহলে কালকে বলবো? 🙂 (আমি হেঁসে বললাম)
:-কেনো কেনো,,তা হবে কেনো? 😳(অবাক হয়ে)
(আমি খেয়াল করলাম,,,ফারিয়া আড় চোখে আমাদের দিকে তাঁকিয়ে আছে,,
দেখতেছে আমরা কি করি)
:-কারণ একটু পর আমাকে বাসায় যেতে হবে,,বাসায় অসুস্থ বাবা-মার তাদের জন্য ঔষুধ আনতে হবে!!
সকালে ঔষুধ শেষ হইছে,,দুপুরের ঔষুধ কিনে বাড়িতে যেতে হবে? (আমি)
:-ওহো,,তাহলে কালকে বলবেন তো? (সুজাতা)
:-বলবো,,তবে সবার কাছে একসাথে! যদি আপনি তাদের সাথে কথা বলেন!! তাহলে সবারর কাছে একসাথে বলবো? 🙂 (আমি)
:-আচ্ছা,,আমি আজই সবার সাথে কথা বলবো?
কালকে ব্রেক টাইমে বলবেন?🙂 (সুজাতা)
:-আচ্ছা,,,তাই হবে? 🙂 (আমি)
(আমাদের হাঁসাহাঁসি দেখে আমি বুঝতে পারলাম,,ফারিয়া রেগে যাচ্ছে)
:-আচ্ছা,,চলুন আপনাকে বোঝায় কিভাবে কাজ করতে হবে? (সুজাতা)
:-হুমম,,সেটাই ভালো!! (আমি)
(তারপর সুজাতা আমাকে কাজ সম্পর্কে ধারণা দিতে লাগলো)
::
::
::
এদিকে এক ঘন্টা আগেই ফাইলের কাজটি শেষ হয়েছে,,,🙂
স্যার ফাইলটি নিয়ে চলে যাচ্ছিলো,,তখন আমি স্যারকরকে ডাক দিলাম,,,
:-স্যার? (আমি)
:-হুমম,বলো? (স্যার)
:-স্যার,,আমার আজকে এখন ছুঁটির দরকার ছিলো? (আমি)
(ছুঁটির কথা শুনে,,ফারিয়া সকলে আমার দিকে তাঁকালো)
:-কেনো,,ছুঁটির দরকার কেনো? (স্যার)
:-আসলে স্যার,,আমার অসুস্থ বাবা-মা এঁকা ঘরে,,তাদের জন্য ঔষুধ কিনে নিয়ে যেতে হবে? 😥 (আমি)
:-ওহো,,আচ্ছা যাও? (স্যার)
:-ধন্যবাদ স্যার!! 🙂(আমি)
(তারপর স্যার,,চলে গেলো)
::
::
::
আমি চলে আসার আগে,,,
সবাইকে বললাম,,
:-শুনুন,,সকলে! সুজাতা আপু আজ থেকে আপনাদের সবার সাথে কথা বলবে? (আমি)
:-😳😳..(সকলে অবাক হয়ে)
:-শুধু কথা না,,আড্ডাও দিবো? (সুজাতা(
:-এই সত্যি? (ফারহাদ ভাই)
:-হুমম,,সত্যি (সুজাতা)
:-সেটা তো বুঝলাম,,,কিন্তু আলাউদ্দিন ভাইয়া আপনি তো কাহিনি বললেন না? (নাবিলা)
(পাশেই ফারিয়া ছিলো দাঁড়িয়ে)
:-কালকে ব্রেক টাইমে বলবো এখন আছি? (এই বলে আমি চলে আসলাম)
::
::
::
বাইরে এসে,, সোজা আমি আমার কাজে গেলাম,,,
আমি জানি আমি কিভাবে ১০হাজার টাকা যোগার করবো?
আমি সোজা ফোন সার্ভিসের দোকানে গেলাম,,,
মানে যেখানে পুরান ফোন কিনে থাকে?
::
;;
হ্যা,,আপনারা ঠিকই ধরেছেন,,আমি আমার ফোন বিক্রি করে দিবো?
ফোনটি কিন ছিলাম ৩০হাজার টাকা দিয়ে,,,
অবশ্য ফোনটি আমি কিনি নি,,,আমার মামা আমাকে কিনে দিছেলো?
যাই হোক,,ফোনের দাম গেলো ১২ হাজার টাকা!! সেটি বিক্রি করে ১২ হাজার টাকা দিয়ে,,,মেডিসিনের দোকানে গেলাম!!
:::
:::
তারপর ৬০০০হাজার ঔষুধ কিনলাম,,
মানে একমাসের ঔষুধ কিনলাম,,
আর রোদেলার কলেজে গিয়ে,,,আর রোদের প্রাইবেটের বেতন সবকিছুতে ৫০০০হাজার টাকা লাগলো!
আর ১ হাজার টাকা আমার কাছে ছিলো!!
সেই টাকা দিয়ে বাজার করলাম,,
সেখান থেকে আবার কিছু টাকা বাচিয়ে বোনের জন্য লাল চুরি কিনলাম!,,
বোন আমার লাল চুরি খুব পছন্দ করে! কিন্তু অভাবের জন্য কখনো কিনে দিতে পারিনি!! 😥
যাই হোকক,,এগুলো নিয়ে বাসায় যেতে লাগলাম 🙂
::
::
পরিবারের জন্য বাজার,,
বাবা-মার ঔষুধ,,বোনের সব বেতনন পরিশোধ করতে পেরে নিজে এখন একটু পরিবারের বড় ছেলে বড় ছেলে মনে হচ্ছে 🙂🙂
পরিবারের জন্য কিছু করতে পারলে,,সত্যি মনের মধ্যে একটি প্রশান্তির হাওয়া বয়তে থাকে 🙂🙂
::
::
আমি বাজার নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে আসলাম,,,
আমার হাতে ঔষুধ বাজার,,,
বাজার দেখে মা ছুঁটে আসলো!!
বাজার,, ঔষুধ দেখে মার মুখে একটি সস্থির হাঁসি দেখতে পেলাম,,,
যেই হাঁসিটা দেখার জন্য পৃথিবীর সকল ছেলে মার মুখের দিকে তাঁকিয়ে থাকে!!
::
::
:-বাবা,,,তুই এতো ঔষুধ কিনছিস,,,বাজার করছিস,,টাকা পেলি কোথায়? (মা)
:-কি যে বলো মা,,তোমার ছেলে এখন চাকরি করে!!
টাকার অভাব,,আর এই দেখো এটি কি? লাল চুরি রোদেলার জন্য? 🙂(আমি)
:-রোদেলা যদি দেখে লাল চুরি,,,তাহলে তো তোর বোন খুঁশিতে আত্তহারা হয়ে যাবে? 🙂 (মা)
:-হুমম,,,ওর জন্য গিফট এটি,, 🙂 ও আসুক কলেজ থেকে। তুমি এখন যাও,,বাবা-আর তুমি খাবার খেয়ে ঔষুধ খেঁয়ে নেও? (আমি)
:-আচ্ছা বাবা! 🙂 (তারপর মা,,খুঁশি হয়ে ঔষুধ নিয়ে বাবার কাছে গেলো)
(মায়ের মুখের হাঁসি দেখে মনটা ভোরে গেলো,,,🙂
আমি এখন রোদেলার ফেরার জন্য অপেক্ষা করতেছি!!
বোন যে আমার কি খুঁশি হবে,,সেটি ভেবে আমার যে কেমন লাগতেছে বলে বোঝাতে পারবো না 🙂🙂😊)
::
::
::
::
::
::
::
(কেমন হইছে জানাবেন। সারা পেলে পরের পর্ব দ্রুত দিবো)
::
::
::
::
#চলবে
::
::
::
বি.দ্র.ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
0 Comments:
Post a Comment